ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক মারা গেছেন। 

ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, খন্দকার মোজাম্মেল হক কিডনি জটিলতা ও বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

আবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার জোহরের পর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে তাদের প্রয়াত চেয়ারম্যানের জানাজা হয়।

পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের সদরদপ্তরে। সেখানে আরকে দফা জানাজার পর কফিন রাখা হবে হাসপাতালের হিমঘরে।

শুক্রবার জুমার পর নোয়াখালীর সেনবাগের কেশনপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে খন্দকার মোজাম্মেল হককে দাফন করা হবে বলে জানান আবুল হোসেন।

মোজাম্মেল হক স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।

২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ১৯৮২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প শাখার পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোজাম্মেল হক।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক মোজাম্মেল ফরাসি উন্নয়ন ব্যাংক এবং শ্রীলঙ্কা ও নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ক্ষদ্রঋণ পরামর্শক হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন।

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে 'শান্তি স্থাপন' বিবেচনা করে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংককে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার খন্দকার মোজাম্মেল হককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়।

এর তিন মাসের মাথায় বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে এমডি পদ থেকে ইউনূসকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইউনূস অপসারিত হওয়ার পর ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অতীতের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে মুখ খুলে আলোচিত হন মোজাম্মেল হক।

স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তিনি ২০১৩ সালে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। চেয়ারম্যান পদে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তার।