‘ক্ষোভে ফুঁসছে কাশ্মীরবাসী, যে কোন সময় বিস্ফোরণ’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৪ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ভারতের জাতীয় সংসদের মাধ্যমে কাশ্মীরবাসীর ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের পর স্বভাবতই মুসলিম বিশ্বসহ শান্তিকামী বিশ্বে বইছে সমালোচনা ঝড়। সেইসঙ্গে স্বাধীনতার স্বপ্ন মলিন হওয়ায় কাশ্মীরের জনগণও ক্ষোভে ফুঁসছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ এক কাশ্মীরি যুবক।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যমকে অসীম নামে কাশ্মীরি যুবক বলেন, 'মানুষ এখন আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসছে, যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে'।
কাশ্মীরের ওই বাসিন্দা হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবিসিকে বলেন, যদি আমাদের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
এদিকে গত সোমবার ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থকে কাশ্মীরজুড়ে চলমান কারফিউ অব্যাহত ছিল এদিনও। হাজার হাজার মানুষ বন্দী ছিলেন নিজ নিজ বাড়িতে। তাদের চলাচলের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে ভারত। ইন্টারনেটসহ সব ধরণের নাগরিক সেবা থেকেও বিচ্ছিন্ন ছিল এখানকার বাসিন্দারা।
ধারণা করা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তি এবং এটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের কয়েকদিন পরে বড় ধরণের প্রতিবাদ হতে পারে আশঙ্কা থেকেই এমন সব ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারত অধিকৃত অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর ইট, পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরাও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সবধরনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভারতীয় সংসদে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করেছে মোদি সরকার। ওই বিলে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়েছে।
এদিকে কাশ্মীরিদের ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায় বলেই মনে করছে কাশ্মীরিরা।
এনএস/আরকে