কাশ্মীর ইস্যুতে যা বললেন মালালা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৯ এএম, ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
জন্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা উঠিয়ে দেয়া পরবর্তী সংঘাত পরিস্থিতিতে সেখানকার নারী ও শিশুদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেল জয়ী পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই। বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় চলমান সহিংসতার মধ্যে সেখানকার নারী এবং শিশুরা কেমন আছে তা নিয়ে তিনি চিন্তিত বলে জানান।
গত সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ (ক) এর উপধারা বাতিল করে মোদি সরকার। তারপর থেকে সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের পার্লামেন্টে বিলটি পাসের আগে থেকেই সেখানে কারফিউ জারি করা হয়। চলমান কারফিউয়ের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাত দশক ধরে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করেই কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
টুইটবার্তায় মালালা জানান, আমি যখন ছোট এমনকি আমার মা-বাবাও যখন ছোট এবং আমার দাদা যখন তরুণ তখন থেকেই কাশ্মীরের মানুষ সংঘাতের মধ্যে বসবাস করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমি কাশ্মীরি শিশু এবং নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। কারণ সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ সহ্য করতে হয় নারী এবং শিশুদের।' ওই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই মানবাধিকার কর্মী।
এদিকে, কাশ্মীরকে ইস্যুতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান । একই সঙ্গে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেন মালালা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কাশ্মীর দ্বিখণ্ডের যুক্তি তুলে ধরে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রটির প্রধান নরেদ্র মোদি। যেখানে মোদি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। নাগরিকরা এখন সমান অধিকার পাবে। নতুন সূচনা হচ্ছে লাদাখের অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্যও।
আই/