চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগের প্রস্তুতি নিতে বললেন বরিস জনসন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৭ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
চুক্তিবিহীনভাবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়তে প্রস্তুতি নেওয়া এই মুহুর্তে অগ্রাধিকার পবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্য ইউরোপিয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে। তবে তিনি চুক্তি করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবেন বলেও জানান। এ দিকে বিরোধী দল লেবার পর্টির প্রধান জেরমি করবিন দেশটির আমলাদের চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকানোর আহবান জানিয়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্য ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে কোন মূল্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বদ্ধ পরিকর। তিনি প্রয়োজনে চুক্তি ছাড়াই ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার পক্ষে। এজন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। মূলত আইরিশ সীমান্তে কড়াকড়ি না করার জন্য কথিত বেকস্টপ পরিকল্পনা বাতিলের জন্য তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়নের কাছে দাবী জানিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে যে সমঝোতা করেছিলেন তাতে এই বেকস্টপ পরিকল্পনার বিরোধীতা করেছিলেন এমপিরা। এখনো সেটাই করে যাচ্ছেন সরকারী এবং বিরোধী দলীয় অনেক এমপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এই পরিকল্পনার বিরোধী। কিন্তু ইউরোপিয় ইউনিয়ন পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, তারা নতুন করে কোন ধরনের আলোচনায় যাবে না। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশন না থাকা অবস্থায় কিম্বা প্রয়োজনে পার্লামেন্টে স্থগিত করে ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন। এমনকি ব্রেক্সিট কার্যকরের পরদিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনেরও ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন কেবিনেট সেক্রেটারী স্যার মার্ক সেডউইলকে দেওয়া এক চিঠিতে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচারণার সময় কোন চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকর করা হবে অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক। একে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহাব বলে মন্তব্য করেন। বিরোধী এমপিদের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সম্ভবনার মধ্যে করবিন এমন চিঠি দিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে গ্রীষ্মের ছুটির পর আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিব পার্টি নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সমর্থন নিয়ে মাত্র আসনের সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে পার্লামেন্টে আছেন। তবে কনজারভেটিব দলের অনেকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে। সেজন্য অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আরেকটি মধ্যবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এমএস/কেআই