ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বেকিং সোডার ১১টি স্বাস্থ্যগুণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

কেক বা এ জাতীয় খাবার তৈরিতে বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়।  কিন্তু বেকিং সোডা খাবার তৈরির জন্য কেনা হলেও এর গুণাগুণ যে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে কতখানি তা আমাদের ধারণার বাইরে। অত্যন্ত কম দামে পাওয়া বেকিং সোডা যেভাবে অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে তার তুলনা অসামান্য। এছাড়াও এর রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক গুণ।

বেকিং সোডাতে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট । এটিতে নাহকোলাইট থাকে যা প্রাকৃতিক খনিজ ন্যাট্রন। ইজিপ্সিয়ানরা প্রাচীন কালে এটিকে সাবান হিসাবে ব্যবহার করতেন যা বর্তমানে রান্নার একটি সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে।

বেকিং সোডার এই ছোট খাটো ব্যবহার ছাড়াও এটি ভীষণভাবে প্রাকৃতিক দুর্গন্ধনাশক পদার্থ, হাত ও দাঁত পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিদিন যদি একটু করে বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয় তবে তা শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে, অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করতে ভীষণভাবে উপকার করে থাকে। 

আমাদের শরীরের সামগ্রিক কার্যকলাপে এটি ভীষণভাবে উপকার করে। পানিতে মিশ্রিত বেকিং সোডার উপকার সারা পৃথিবীতে প্রাচীন কাল থেকে স্বীকৃত। এবার আলোচনা করা যাক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বেকিং সোডা কিভাবে সাহায্য করে থাকে:

প্রাকৃতিক অম্লনাশক

অ্যাসিড নিঃসরণ হলো শরীরের খুব সাধারণ একটি ঘটনা। যার ফলে অম্বলের সমস্যা প্রায়শই দেখা দিয়ে থাকে। বেকিং সোডা এর মধ্যে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট থাকার জন্য অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক অ্যালকালাইসিং

শরীর থেকে অম্লের পরিমাণ কমাতে এবং পি.এইচ এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। শরীরে অম্লের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে অস্টিওপরোসিস, আর্থারাইটিস এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।

মূত্রনালির সংক্রমণে উপশম করে

মূত্রনালির সংক্রমণের উপশম করার অন্যতম একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো বেকিং সোডা। এটি পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে খেতে হয়ে।

ব্যায়াম থেকে সৃষ্ট সমস্যা দূর করে

অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমতে পারে, শরীরে পেশীগত কাঠিন্নতা দেখা দিলে এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে বেকিং সোডা অত্যন্ত উপকারী। পানির সঙ্গে মিশ্রিত বেকিং সোডা এক্ষেত্রে অসাধারণ উপকার করে।

কিডনির কার্যকলাপে সাহায্য করে

ক্ষারীয় পদার্থ হিসাবে বেকিং সোডা শরীরে অম্লের পরিমাণ কমাতে এবং পি.এইচ সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মার্কিন সোসাইটি অফ নেফ্রোলজির মতো একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, এটি শরীরে কিডনির কার্যকলাপ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ঘটায়।

গেঁটে বাতের উপকারী

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ মূত্র এবং টিস্যুতে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে সারা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। যার ফলস্বরূপ গেঁটে বাত দেখা যায়। এটি ঠিক করতে বেকিং সোডা অসম্ভব উপকার করে।

ত্বকের উন্নতিতে সহায়তা করে

মৃত কোষ অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। এর ফল স্বরূপ ত্বকের পুরানো দ্যুতি ফিরে আসে। এর জন্য কেবল প্রয়োজন পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখে বৃত্তাকারের ঘষে লাগানোর। তবে এটি সপ্তাহে দুই দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

ব্রণ প্রতিরোধক

ব্রণ এবং মুখে হওয়া ফুসকুড়ি কমাতে অসাধারণ উপকার করে বেকিং সোডা।

ঠোটের কালো ভাব কমায়

মধু এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রতিদিন তিন মিনিট করে ঠোটে লাগিয়ে রাখলে ঠোটের কালোভাব দূর হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দাঁত উজ্জ্বল করে

বেকিং সোডার মতো দাঁত পরিষ্কার অন্য কিছুতেই হয় না। দাঁতের ওপর থেকে দাগ ওঠানোর জন্য বেকিং সোডার ভূমিকা অসাধারণ।

চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখে 

কোনো বিজ্ঞানসম্মত মতামত না থাকলেও চুলকে নরম করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে বেকিং পাউডার।

এএইচ/