যুক্তরাজ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটির প্রায় প্রতিটি শহরের বিভিন্ন মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরুষের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন মহিলারাও অংশ নিয়েছেন।
বাঙ্গালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে মাইল্যান্ড স্টেডিয়ামে। এখানে প্রায় হাজারখানেক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামায়াত শেষে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বড় মসজিদ ইস্ট লন্ডন মসজিদে ৫টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের আলাদা ব্যবস্থা ছিলো। যুক্তরাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ইলফোডের ভ্যালেন্টাইন পার্ক, ওয়েস্টহ্যাম পার্ক, বার্মিহামের স্মলহিথ পার্কেও ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাজ্যে ঈদের নামাজের পরপরই যারা কোরবানী দিয়েছেন তারা ভীড় করেছেন মাংসের দোকানে। কারণ এদেশে কেউ প্রকাশ্যে পশু কোরবানী দিতে পারেন না। যারা কোরবানী দিতে চান তারা যেকোন মাংসের দোকানে অর্ডার দিয়ে থাকেন। গরু বা ভেড়া যে পশুর অর্ডার দেওয়া হয় কসাইখানা থেকে পশু জবাই করে মাংস নিয়ে আসেন মাংসের দোকানী। দোকান থেকে সে মাংস নিয়ে যান মুসলমানগণ। তবে কিছু কিছু স্থানে কসাইখানায় গিয়ে পশু পছন্দ করে কোরবানী দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
এদিকে ছুটি না থাকায় ঈদের দিন হলে কাজে গিয়েছেন বেশিরভাগ মুসলমান। অনেকে ঈদের নামাজও পড়তে পারেননি। একটি সুপারস্টোরে কাজ করেন কালাম উদ্দিন। তিনি বলেন,আমার কাজ ছিল সকাল ছয়টা থেকে, শেষ হবে দুপুর দুইটায়। এখানে বেশিরভাগ মুসলমান কাজ করেন। কয়েকজন ভিন্ন শিফটে কাজ করেন বলে ঈদের নামাজ পড়তে পেরেছেন। কিন্ত তার মতো আরও কয়েকজনের কাজ থাকায় ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি।
তানভীর আরমান কাজ করেন একটি খাবারের দোকানে। পরিবার থাকে বাংলাদেশে। তিনি ঈদের নামাজ পড়তে পারলেও নামাজ শেষেই ছুটতে হয়েছে কাজে। তিনি জানান, মোবাইলে দেশে কথা বলেছেন। এতেই ঈদের আনন্দ খুঁজে বেড়ান।
কেআই/