কেমন কাটল কাশ্মীরিদের ঈদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:৩৮ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
ভারত সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে কাশ্মীরিদের দেওয়া বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর ওই অঞ্চলে তুমুল বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এবারের কোরবানির ঈদেও এর প্রভাব পড়েছে।
সংঘাত এড়াতে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক পাহারা বসিয়েছিল। এর মধ্যেই কাশ্মীরিরা কোরবানির ঈদ পালন করেছেন। কিন্তু তাদের এবারের ঈদ স্বস্তিদায়ক ছিল না।
ঈদের আগের দিন তথা রোববারও শ্রীনগরে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। ঈদের দিন অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়। তবে এ দিন বড় জামায়াত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার বদলে স্থানীয় মসজিদেই নামাজ আদায় করেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি-সহ উপত্যকার বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকে স্থানীয় মসজিদে প্রার্থনার অনুমতি দেওয়া হয়। কাশ্মীরের জনজীবন কতটা স্বাভাবিক তা তুলে ধরতে, এ দিনের নানা ছবি দেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনন্তনাগ, বদগাম, বারামুলা ও বন্দিপোরের সর্বত্র নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ শেষ হয়েছে। বারামুলার জামিয়া মসজিদে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলেও দাবি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিন কার্যত নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় পুরো কাশ্মীরকে। সকালে রাস্তার কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে শ্রীনগরে রাস্তার দু’ পাশেই নিরাপত্তাকর্মীরা মোতায়েন ছিলেন। বিক্ষোভের আশঙ্কায় মজুত রাখা হয়েছিল জলকামানও।
কিন্তু কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ঈদের দিনে উপত্যকায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। শ্রীনগরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে খবরে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। উপত্যকায় বিক্ষোভের খবর স্বীকার করে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাথর ছোড়ার কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তবে তা বড় আকারের নয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দিয়েছে। ঘটনায় দু’এক জন আহত হয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে নির্বিঘ্নেই ইদ পালিত হয়েছে। টুইটে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে ইমতিয়াজ হুসেন নামে এক আধিকারিক এ দাবি করেন।এ দিন হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে ও শান্তিতে ঈদ পালন করেন।সাধারণ মানুষকে ইদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়।
দিনের শুরুটা অন্যরকম হলেও প্রার্থনা শেষ হওয়ার পরই অনেক জায়গায় ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার শাহিদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সকালে ঈদের নামাজের পর বেশ কয়েক জায়গায় ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।’
(ভারতীয় পত্রিকার অবলম্বনে)
এমএইচ/