অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট, খুলছে নতুন দুয়ার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:২০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের নাম 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত অলিম্পিক। যা গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় গাঁথার সবচেয়ে বড় প্রয়াস। বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন ডিসিপ্লিনে হাজার হাজার ক্রীড়াবিদকে নিয়ে চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, ক্রিকেট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্ট হলেও এই মহা ক্রীড়াযজ্ঞের অংশ হতে পারেনি খেলাটি। তবে আগামী ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই ক্রিকেটে খুলছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
কেন ক্রিকেট অলিম্পিকের টিকিট পাচ্ছে না তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কারও দাবি, আইসিসির কারণেই অলিম্পিক থেকে বাইরে আছে ক্রিকেট। আবার অনেকের ধারণা, অলিম্পিক কমিটিই ক্রিকেটের সময়সীমার কারণে এটা অন্তর্ভূক্তি চায় না।
তবে যেহেতু টি-টোয়েন্টির এই যুগে ক্রিকেটের সময়টাও অনেক কমে এসেছে। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে জোরালো দাবি উঠছে, অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্ত করার। অবশ্য, অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্তি করতে বহু বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এমসিসি ও আইসিসি।
অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চালানো সেই প্রচেষ্টার সুফল পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট। আগামী ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক আসর দিয়েই ক্রিকেটে খুলছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। সোমবার বিশ্ববাসীকে এমনই আশার কথা শোনালেন এমসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং।
আইসিসির ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, 'আমরা মানু সানের (আইসিসির নতুন প্রধান নির্বাহী) সঙ্গে কথা বলছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশাবাদী, ২০২৮ অলিম্পিকেই আমরা ক্রিকেটকে নিয়ে যেতে পারব।' গ্যাটিং এবং মানুর সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে এ নিয়ে। আজ মঙ্গলবার জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো'র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অলিম্পিক হল- বিশ্বের প্রায় সব ক্রীড়াবিদকে এক ছাতার নিচে আনার একমাত্র প্লাটফর্ম। সেখানে আসরের পর আসর ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে ক্রিকেট। অথচ বিশ্বের বেশ কয়েকটা দেশেই ক্রিকেট খেলা দেখা হয়। যদিও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা শুধু উপমহাদেশেই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে ক্রিকেটপ্রেমী দেশ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।
উপ-মহাদেশের বাইরে নির্দিষ্ট কয়েকটা দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে ক্রিকেট। তবে ব্যাট-বলের এই যুদ্ধের বিশ্বায়ন ঘটাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি।
এ বিষয়ে গ্যাটিং বলেছেন, 'আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তারাও (অলিম্পিক কমিটি) ইতিবাচক এই বিষয়ে। এটা হবে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের জন্য বিশাল একটা পাওয়া। এটা হবে দুর্দান্ত একটা ব্যাপার।'
অবশ্য, নারী ক্রিকেটের জন্য ইতোমধ্যে একটা সুখবর আসছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে ফিরছে নারী ক্রিকেট। ফলে ২০২২ সালে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিতব্য আসরে অংশ নিবে নারী ক্রিকেট দলগুলো।
এনএস/