অনুমতি ছাড়া ঢাকায় ড্রোন ওড়ানো যাবে না
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:০৮ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
ঢাকা মহানগরীতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিনোদন কিংবা ছবি ধারণের জন্য অজ্ঞাত কারণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন ধরনের ড্রোন উড্ডয়ন করছেন। যেকোনো ধরনের ড্রোন উড্ডয়নের জন্য অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের এখতিয়ারভুক্ত।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া অননুমোদিত ড্রোন উড্ডয়ন জননিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি বলে, জননিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে অননুমোদিতভাবে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হলো।
উল্লেখ্য, ড্রোন মনুষ্যবিহীন এক ধরনের আকাশযান। একবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ড্রোন একটি সাড়া জাগানো নাম।এর আবিধানিক অর্থ হল গুঞ্জন। ড্রোন চলার শব্দের সঙ্গে মৌমাছির গুনগুনের মিল থাকায় এই নাম। ডানা মেলা এই যান্ত্রিক পাখির চোখ যেখানে পরবে সেই জায়গা সম্পর্কে নিখুত ছবি ও তথ্য তুলে আনতে সক্ষম এই যন্ত্র। ড্রোন যুদ্ধবিমানগুলোতে সংবেদনশীল যন্ত্র ও ক্যামেরা থাকে।
ওই ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত ভিডিওচিত্র ভূমি থেকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আকাশসীমায় গুপ্তচরবৃত্তি চালানো, নিজ দেশের আকাশসীমা পাহারা দেয়া, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, শত্রুদের বেতার ও রাডার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটানো, আড়ি পেতে তথ্য জোগাড় করা থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে এ বিমান। এসব বিমান পাইলটবিহীন হওয়ায় যুদ্ধে পাইলটের মৃত্যুঝুঁকি থাকে না তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিমান ব্যবহার করা যায়। পাইলট না থাকায় ককপিট, অক্সিজেন সাপ্লাই সহ অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় না। ফলে এতে অধিক অস্ত্র বহন করা যায়। এগুলোতে কোনো চালকের প্রয়োজন হয় না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খুবই চমৎকারভাবে কাজ করে ।
প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মনুষ্যবিহীন এসব উড়োযানের আমদানি, উৎপাদন, বিপণন, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, খেলনা ব্যতীত অন্য ড্রোন আমদানিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়।
ভিভিআইপিদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে অনতিবিলম্বে ডিজিএফআই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ড্রোন আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
কেআই/