ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কানাডায় অভিবাসনের এখনই সেরা সুযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য এখনই সেরা সুযোগ। ২০১৯ সালই হতে পারে সেই স্বপ্নপূরণের বছর। কেননা, আগের তুলনায় অনেক সহজ করা হয়েছে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া। ২০২০ সালের মধ্যে ১০ লাখ দক্ষ শ্রমিক নেবে দেশটি। এতে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ করার অনুমতি এবং নাগরিকত্ব পাবেন তারা। সম্প্রতি কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হাই স্কিল্ড,ফ্যামিলি মাইগ্রেশন, ট্রেড স্কিল্ডসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৬০ ধরণের প্রোগ্রামের আওতায় এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সিআরএস (Comprehensive Ranking System)পয়েন্টের নিম্নমুখী স্কোরের প্রবণতা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর সবচেয়ে কম পয়েন্ট দিয়েও কানাডায় আবেদনের সুযোগ পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে অর্থাৎ তিন বছরে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি পেশাজীবী বিভিন্ন খাতে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেশটির সরকার। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে কানাডা।

এ ক্ষেত্রে বর্তমানে দশটি পদে লোক নিচ্ছে দেশটি। যে ১০টি পদে আবেদনের মাধ্যমে দ্রুত যাওয়া যাবে সেগুলো হলো- সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজার, বিজনেস এনালিস্ট, কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ,আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে দক্ষ। এছাড়া অন্যান্য দক্ষ পেশাজীবীরাও আবেদন করতে পারবেন।

তাই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরাও ১০ পদের যে কোনও একটি পদে আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি -এই দুই ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বেশি আবেদন করা হয়।

এদিকে কানাডায় নাগরিকত্ব পাবার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিজের আছে কী-না তা জানতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, কানাডা সবসময়ই (First come first serve) অর্থাৎ ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ভিত্তিতে অভিবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। কানাডার বিল সি-৬ (Bill C-6) অনুযায়ী, দেশটিতে  সিটিজেনশিপের আবেদন করতে ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর বসবাস করতে হবে। এর আগে ছিল ৬ বছরের মধ্যে ৪ বছর। 

এছাড়া কানাডায় যারা অস্থায়ী মর্যাদায় অর্থাৎ ওয়ার্ক অথবা স্টাডি পারমিটে ছিলেন, তারাও তাদের কানাডায় বসবাসের সময়টুকু ৩ বছর মেয়াদের একটি অংশ হিসেবে গণনা করতে সক্ষম হবেন।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, কানাডায় অভিবাসনের আবেদন করতে সাধারণত একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা, পারিবারিক তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি পাস, IELTS, ECA সার্টিফিকেট, কমপক্ষে দুই বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি লাগে।

এমনকি অনলাইনেই আবেদন করা যায়। তবে জব অফার ছাড়া আবেদন করে লাভ নেই। আবেদনের জন্য যোগ্য কী-না, তা নিরূপণ করার পরই প্রোফাইল তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে লটারি বা ড্র-এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তবে সবকিছুর আগে চাকরির অফারের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কানাডায় পদার্পণের পরই যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন-এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মূলত যে কোনও ডিপ্লোমাধারী অথবা ডিগ্রি পাসধারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। বাংলাদেশিরা যদি প্রথম থেকেই দ্রুত ও দক্ষতার সাথে ফাইল প্রসেস করে থাকে,তবে স্বল্প সময়ে এই ভিসা পাওয়া নিশ্চিত।

কানাডার অভিবাসন আইন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা যোগ্যতা রাখেন, তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না। সেইসঙ্গে অযোগ্য ব্যক্তিরা যেন অযথা আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না করেন, সেই অনুরোধও করেন এই আইনজীবী।

কানাডায় অভিবাসন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং ফ্রি অ্যাসেসমেন্টের জন্য আগ্রহী যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর সঙ্গে।

এছাড়া আগ্রহীরা পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারবেন info@worldwidemigration.org এই ই-মেইল ঠিকানায়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.wwbmc.com এই ওয়েবসাইটে।

এনএস/কেআই