কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের সেই হৃদয় বিদারক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশ যখন তার অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা থেকে উন্নতির দিকে এগিয়ে চলছে, এমন সময় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতার এক পর্যায়ে পারিবারিক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গেছেন। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশকে উন্নত করতে পেরেছি। এ সময় গলাভারী হয়ে আসে প্রধানমন্ত্রী।
চোখে পানি নিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আজকে যে বাংলাদেশের মানুষের অর্জন, তিনি কি বেহেস্তে থেকে দেখতে পাবে! তিনি কি জানতে পারবেন! আমি এখানে আসার আগে আমার ছোট বোনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম রেহানার সঙ্গে কথা বলেছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোকাবহ কালোদিবসে ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
জাতীয় শোক দিবসে মহান আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
টিআর