নির্ধারিত সময়ের আগেই উৎপাদনে সিরাজগঞ্জের ২ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
নির্ধারিত সময়ের আগেই উৎপাদন শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে স্থাপিত সেম্বকর্প ও নর্থওয়েষ্ট পাওয়ার কোম্পানীর ৪১৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাতীয় গ্রীডে এ উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। ফলে দেশে বর্তমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে এ বিদ্যুত কেন্দ্রটি। সেই সাথে প্লান্টটি স্থাপনের ফলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই চাকুরির সুযোগ পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে বাংলাদেশে এই প্রথম সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানী সেম্বকর্প ও বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানী যৌথভাবে স্থাপন করেছে ৪১৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ডুয়েল ফুয়েল (গ্যাস ও ডিজেল) চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২২ বছরের জন্য ১৬ একর জমি ইজারা নিয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করে কোম্পানীটি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করলেও ২৮২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সিম্বল সাইকেল প্লান্টটি নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগে ২০১৮সালে এবং ১৩২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল প্লান্টটির কাজ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই শেষ হয়েছে। ফলে প্লান্ট দু’টি থেকে এখন প্রতিদিন ৪১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে এবং এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হচ্ছে। এতে দেশে বর্তমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের সময় দেশের প্রায় দেড় হাজার মানুষ কাজ করেছে। বর্তমানে নিযুক্ত ৫২ জন কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশী।
আন্তর্জাতীক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি’র অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও দক্ষ জনবলের নিরলস পরিশ্রমের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই এমন সম্ভব হয়েছে বলে সেপকো থ্রিতে কর্মরত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, সেপকো থ্রি কোম্পানী শুধু সিরাজগঞ্জেই নয় চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে কয়লা ভিত্তিক (এস এস পাওয়ার প্লান্ট) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি বিদ্যুত প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু করেছেন। পাঁচ বছরে যার নির্মান কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে এখানে কাজ করছেন বলে জানান সেপকো থ্রি’র পাওয়ার প্লান্টের সেফটি অফিসার পদে কর্মরত আলী মোহাম্মদ ইউসূফ। সিরাজগঞ্জ সদরের দিপক কুমার সাহা এখানে মেডিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ‘সেপকো থ্রি’র পাওয়ার প্লান্টটি এখানে স্থাপন হওয়ার কারনে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং তার মতো অনেকের এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।’
এস-৪ পাওয়ার জেনারেশন প্রকল্প সিরাজগঞ্জ বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সং জায়োমিং বলেন, ‘সেপকো থ্রি একটি আন্তর্জাতীক খ্যাতি সম্পন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শুধু বাংলাদেশে নয় প্রতিষ্ঠানটি ভারত, ঘানা, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মান কাজ করছে।
এমএস/