ডেঙ্গু আতঙ্কে বেনাপোল চেকপোষ্টসহ পৌর এলাকাবাসী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করার কথা বলা হলেও এখানে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। ফলে চেকপোষ্টে কর্মরত কাষ্টমস, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, আনসার সদস্যরা ডেঙ্গুর আতঙ্কে রয়েছেন।
তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখানে একটি মেডিকেল টিম গঠন করলে স্বস্থি পেতেন। অন্যদিকে বেনাপোল পৌর ও শার্শা উপজেলা এলাকার রাস্তা ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ময়লা ও আবর্জনার স্তুপে জমে থাকা পানিতে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কবে এ সব স্থানে মশা নিধরেন ওষুধ ছিটানো হয়েছিল তা মনে করতে পারছেন না স্থানীয়রা।
বেনাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা করা হয়েছে। তবে এখানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোনো কার্যক্রমই হাতে নেওয়া হয়নি। ভারত থেকে আসা যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা মাপার জন্য এখানে স্ক্যানার মেশিন আছে, টেবিল চেয়ার আছে, কম্পিউটার আছে তবে সেখানে কোন ডাক্তার নেই। ডেঙ্গু সংক্রমিত এলাকাসহ সারা দেশ থেকে প্রতিদিন এ চেকপোষ্ট দিয়ে চার থেকে ছয় হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়াও শত শত ভারতীয় ও বাংলাদেশী ট্রাক চালক ও চালকের সহযোগীরা পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসা যাওয়া করেন। দেশে মহামারী আকার ধারণ করা ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছেন। এর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু রোগে কয়েকজন মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব অফিসার ইমদাদুল হক বলেন, ‘ডেঙ্গুর বর্তমান যে প্রাদুর্ভাব তাতে সারা দেশের ন্যায় আমরাও আতঙ্কিত। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে ছয় হাজার পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত বা ডেঙ্গুর জীবানু বহন করে কেউ যাচ্ছে বা আসছে কি না সে ব্যাপারে এখানে চেকিং এর কোন ব্যবস্থা নেই।’ এখানে সরকারী ও বেসরকারি মিলে প্রায় দুই শত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। একটি মেডিকেল টিম থাকলে কিছুটা হলেও নিরাপদ বোধ করতেন তারা বলে উল্লেখ করেন।
ডেঙ্গু সতর্কতা নিয়ে কথা বললে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন স্বাস্থ্য সহকারি হঠাৎ এসে বলেন, ‘সিভিল সার্জন আমাদের জানিয়েছেন কোন যাত্রীর গায়ে জ্বর আছে কিনা সেটা দেখতে। এ চেকপোষ্টে কর্মরত কাষ্টমস, পুলিশ, আনসার সকলেই রয়েছেন ডেঙ্গু আতঙ্কে।’
অপরদিকে বেনাপোল পৌর সভার ৮৮ হাজার ৬ শত বাসিন্দার এ ডেঙ্গুর আতঙ্গে দিন যাপন করছেন।
পৌরবাসীর আতঙ্কের বিষয়ে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ‘যারা বলছেন তারা জানে না। পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিবছর মশা নিধনের জন্য ঔষুধ স্প্রে করা হয়ে থাকে। বেনাপোল পৌর এলাকায় যাতে এডিস মশা বিস্তার লাভ না করে তার জন্য মাস ব্যাপী হাতে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসুচি।’
এমএস/