চশমা আবিষ্কারের অজানা কথা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:০৬ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
চশমা যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি ফ্যাশনও। যাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ তাদের কাছে চশমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তবে ইদানীং ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং স্টাইলের জন্য অনেকেই নানা কায়দার বাহারি চশমা পরেন। তবে কারণ যাই হোক না কেন, চশমা এখন বেশির ভাগ মানুষেরই নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে।
জানেন কি কবে থেকে এই চশমার ব্যবহার শুরু হয়? আসুন জেনে নেওয়া যাক চশমার আবিষ্কার, প্রচলন ও বিবর্তনের ইতিহাস-
হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে চিত্রিত বর্ণনায় প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায় চশমার ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন ইতিহাসবিদরা। মিসরীয় সভ্যতায় কাঁচ ও আতশ কাঁচের ব্যবহারেরও প্রমাণ মিলেছে। তবে তাকে আধুনিক চশমার আদি রূপ বলা যায় না।
আধুনিক চশমার উদ্ভাবন ও ব্যবহারের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ইতালিতে। দ্বাদশ শতকে একটি কাঠের ফ্রেমে দুটি কাঁচ আটকে প্রথমবার দৈনিক ব্যবহারের জন্য চশমার উদ্ভাবন ও ব্যবহার শুরু হয়। এই সময় চশমা সব সময় হাতে ধরে থাকতে হতো।
ইতিহাসবিদরা অনুমান করছেন, ১২৮৬ সাল নাগাদ ইতালির এক ধর্মপ্রচারক, সংস্কারক জিওর্দানো দ্যা পিসা চশমার নকশাকে আরও উন্নত করেন। মূলত দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতা প্রতিকারের লক্ষ্যে তিনি এটির ব্যবহারকে আরও সহজ করতে চেয়েছিলেন।
সে হিসেবে জিওর্দানো দ্যা পিসার কর্তৃক চশমার জন্য তৈরি নকশাকে আধুনিক চশমার আদিরূপ বলে মনে করেন অনেক ইতিহাসবিদ। তবে এই নকশাতেও চশমা সর্বক্ষণ হাতে ধরেই ব্যবহার করতে হতো। ইতালি ও পরে স্পেনে ধীরে ধীরে চশমার ব্যবহার ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে।
জিওর্দানো দ্যা পিসা চশমার নকশা তৈরির প্রায় সাড়ে চারশ’ বছর পর বদল আসে চশমার নকশায়। দু’কানের সঙ্গে জুড়ে যায় চশমার ফ্রেমের দুই হাতলের মতো অংশ। ফলে হাতে ধরে থেকে চশমার ব্যবহারের দিন ফুরিয়ে জন্ম হয় আধুনিক নকশার চশমা।
চশমার এই আধুনিক নকশা তৈরি করেন ব্রিটিশ চশমা বিক্রেতা ও বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুতকারক এডওয়ার্ড স্কারলেট। এরপর ধীরে ধীরে চশমার হাতলের মতো অংশে কবজা জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে সেটি সহজেই ভাজ করে রাখা সম্ভব হয়।
এই থেকে ধাপে ধাপে নানা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চশমার নকশায় ক্রমশ ছোঁয়া লাগতে থাকে আধুনিক থেকে অতি আধুনিকতার।
সূত্র : জি-নিউজ বাংলা
এএইচ/