ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহ দিবস আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
ঐতিহাসিক ‘নানকার বিদ্রোহ দিবস’ আজ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের জমিদার প্রথার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রামের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই নানকার বিদ্রোহ। ব্রিটিশ আমলে নান অর্থাৎ রুটি দিয়ে কেনা গোলামকে ‘নানকার’ বলা হতো। এ প্রথায় জমিদাররা কৃষকদের গোলাম করে রেখেছিল। এর বিরুদ্ধে সিলেট অঞ্চলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কৃষকরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন।
আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট পুলিশ, ইপিআর ও জমিদারদের পেটোয়া বাহিনী বিয়ানীবাজারের শানেশ্বর ও উলুউরি গ্রামের মধ্যবর্তী সুনাই নদীর তীরে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে শহীদ হন ব্রজনাথ দাস চটই, প্রসন্ন কুমার দাস, পবিত্র কুমার দাস ও কটুমণি দাস। অমূল্য কুমার দাস গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হন এবং বন্দি অবস্থায় দু'দিন পর জেলে মারা যান। এর আগে শানেশ্বর বাজারে পুলিশ ও জমিদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান রজনী দাস। নানকার আন্দোলনের এ শহীদদের স্মরণে প্রতি বছরের ১৮ আগস্ট নানকার বিদ্রোহ দিবস পালন করা হয়।
নানকার বিদ্রোহের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম নানকার আন্দোলনের শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, নানকার, টঙ্ক, তেভাগাসহ সামন্ত সমাজের শোষণমূলক অন্যায় সব প্রথার বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কৃষকরা গর্জে উঠেছিলেন। এসব প্রথার উচ্ছেদ হয়েছে; কিন্তু শোষণের জাল এখনও রয়ে গেছে। শোষণের উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির লড়াই চলবে।
এসএ/