ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

কলকাতা থেকে আনা হলো দুই বাংলাদেশীর মৃতদেহ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গত শুক্রবার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশীর মৃতদেহ দেশে আনা হয়েছে। রোববার সকালে ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল বর্হিগমনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

জানা যায়, নিহত ফারজানা ইসলাম তানিয়া ও মাঈনুল আলম তাদের সহকর্মী শফিউল্লাহসহ চিকিৎসার উদ্দেশে গত ১৪ আগস্ট কলকাতায় যান। পরে ১৬ আগস্ট ফারজানা, মাঈনুল ও শফিউল্লাহ কলকাতার সেক্সপিয়র সরণিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি প্রাইভেট কার উল্টে তাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন ফারজানা, মাঈনুল। এতে গুরুতর আহত হন শফিউল্লাহ।

নিহত ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খুকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বাবা মায়ের দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছিলেন। তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন।

অপরদিকে মাঈনুল আলম ঝিনাইদহের বুটিয়াঘাটি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃতেদহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই জিহাদ আলী।

শফি উল্লাহ জানান, কপালের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে বিচার দাবি করেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মৃতদেহ দুটির কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

এমএস/