চাঁদা না দেওয়ায় মারমা গৃহবধূকে গণধর্ষণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এক উপজাতি মারমা গৃহবধূকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি)প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার নতুনপাড়া থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রোববার আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।এর আগে,গত মঙ্গলবার ওই এলাকার মঈন উদ্দিনের বাড়িতে উপজাতি গৃহবধূর স্বামীকে পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বখাটেরা। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হল পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার পাইকপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে রনি(২১), ডেন্ডাবর এলাকার খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে জয় (২২) এবং ফরিদপুর জেলার শামীম (২৬) ও একই এলাকার জয় (২৪)।অভিযুক্ত রনি এবং শামীম ডেন্ডাবর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতো।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়,'গত মঙ্গলবার অবৈধভাবে মদ তৈরি অভিযোগ তুলে উপজাতি দম্পতির ঘরে ডুকে তিন বখাটে। পরে তারা ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীর নিকটে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে মারধর করে এবং ভাংচুর চালায়।পরে তারা ওই গৃহবধূর স্বামীকে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এসময় গৃহবধূর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনসহ নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।এঘটনার জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় ওই তিন যুবক।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান,উপজাতি গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই রনি নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেআই/