ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে না নেওয়ায় ফের গণধর্ষণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে না নেওয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বাবা-মাকে মারধর করে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা, নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), মৃত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজুকে (৩০) আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ১ মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা মাদ্রাসাছাত্রীর মা শীলা খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর মা জানান, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই নানাভাবে হুমকি দিত আসামিরা। গত ৩ দিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয় ‘মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে পুনরায় ধর্ষণ করা হবে।’
নির্যাতিত ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা জানান, রবিবার ছিল ওই মামলার সাক্ষগ্রহণের দিন। ঠিক এর আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরিফুল লাঠিসোটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে আমাদের দুইজনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্বশান ঘাটের কাছে বাঁশ বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ভোরে মেয়েকে উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করার পর অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এনএম