ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এইউএসটিতে সভা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে সম্প্রতি আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এইউএসটি) এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং সরকারী কর্ম কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এইউএসটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ও উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. এইচ. খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আমানউল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম। সভাটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মাদ আবদুল গফুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার। তার সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে কারা ছিল এটা নিয়ে কমিশন গঠন করা দরকার। যেটা বেশ আগে থেকেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বলে আসছেন। কমিশনের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যে কারা ছিলেন তা বের করে প্রকাশ করা হলে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড হয়তো আর হবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সবাইকে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন সেটা পুরণ হলেই তার আত্মা শান্তি পাবে।’

বিশেষ বক্তা হিসেবে অধ্যাপক ড. এম. এইচ. খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার মনের ভেতরের সঞ্চিত শক্তি দিয়েই একটি জাতিকে শোষণ নিপীড়নবিরোধী এবং অধিকারের প্রশ্নে জাগিয়ে তোলেন। পৃথিবীর বিখ্যাত নেতাদের এই অসাধারণ গুণটি ছিল।’

তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সব সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হামিদুর রহমান খানসহ আরও অনেকেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগীয় ও অফিস প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সব শেষে জাতির জনক ও তার পরিবারের নিহত সব সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসএ/