ধর্ষণের অভিযোগ টাকা দিয়ে বন্ধ করেছিল রোনালদো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
বর্তমান ফুটবল বিশ্বে দুই নক্ষত্রের এক নক্ষত্র হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগীজ এই তারকার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছিল এক মার্কিন মডেল। পরে এই ঘটনা যাতে জনসম্মুখে না আসে তার জন্য ওই মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন রোনালদোর আইনজীবীরা।
মার্কিন মডেল মায়োরগা অভিযোগ করেছিলেন রোনাল্ডো ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন। রোনাল্ডো সেই অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন। লাস ভেগাস প্রশাসন গত মাসে জানিয়েছেন, রোনালদোকে অপরাধী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
এরপরে মায়োরকা দেওয়ানি মামলার উদ্যোগ নেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রোনালদোর আইনজীবী বলেছেন, মায়োরগার সঙ্গে আগেই এ ব্যাপারে মিটমাট হয়ে গেছে। তার সঙ্গে ২০১০ সালে গোপন চুক্তিও হয়েছিল ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।
রোনালদোর আইনজীবী আরও বলেছেন, এই অর্থ দোষ স্বীকার করতে নয়, উক্ত ঘটনা যাতে জনসমক্ষে না আসে সে জন্য দেওয়া হয়েছিল। এই লেনদেনের মাধ্যমে পর্তুগিজ তারকার আইজীবীরা স্বীকার করে নিলেন ২০০৯ সালে মায়োরগার সঙ্গে রোনালদোর যৌন সম্পর্ক হয়েছিল।
ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর গত অক্টোবরে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অস্বীকার করছি। ধর্ষণ একটা ঘৃণ্য অপরাধ। আমি কোন অবস্থাতেই তা সমর্থন করি না।’
রোনালদোর মা ডলোরেস এক মাস ধরে চলা তদন্তে রোনালদোর পাশে ছিলেন এবং তিনিও বলেছিলেন, ‘যাই হোক না কেন, ছেলেকে নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ এছাড়া মার্কিন মডেলকে কটাক্ষ করেও বলেছিলেন, ‘ও নিশ্চয়ই রোনালদোর হোটেলে শুধু তাস খেলতে যায়নি।’
দেওয়ানি মামলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ মায়োরগা দুই লাখ ডলারেরও বেশি দাবি করেছিলেন। সেই মামলা যায় ফেডারেল আদালতে। পুলিশ ঘটনাটি ভাল করে তদন্ত করতে পারেনি। যার কারণ মায়োরগা নিজেই। তিনি সঠিকভাবে বলতে চাননি কে তাকে হেনস্তা করেছিলেন এবং ঘটনাটি কোন নির্দিষ্ট স্থানটিতে ঘটেছিল। যার ফলে তদন্তকারীরা ‘ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ’ সংগ্রহ করতে পারেননি।
এএইচ/এসি