ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

‘তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘২১ আগস্টের হামলায় জড়িত থাকার দায়ে তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।’

আজ বুধবার সকালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ২১ আগস্টের মাধ্যমে রাজনীতির যে দেয়াল তুলেছে সেটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে অবশ্যই যাবো। এ গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে আছে, তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন হামলা চালিয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের যেমন বিচার হয়েছে, এর মাস্টারমাইন্ডদেরও সর্বোচ্চ বিচার হতে হবে।

তিনি বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রাইম টার্গেট’ করে হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষা করে আছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করবো।

এর আগে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ ও দলটির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ইতিহাসের ভয়াবহতম নৃশংস ও বর্বরোচিত ওই হামলা হয়। এতে দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকশ’ নেতাকর্মী। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

পরে তদন্তে উঠে আসে, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ইন্ধনে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশসহ (হুজি) তিনটি জঙ্গি সংগঠন ওই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।

এসএ/