মিয়ানমারে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৩০ সেনা নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৮ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভয়াবহ আকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যাতে দেশটির ৩০ জন সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী নর্দার্ন এ্যালায়েন্সের বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। চীন সীমান্তবর্তী এ রাজ্যে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে গৃহহীন হয়েছেন কমপক্ষে ২ সহস্রাধিক মানুষ।
নর্দান এ্যালায়েন্সের দাবি, তাদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন বার্মিজ সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। থাইভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনেও বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যের প্রাণহানির কথা বলা হয়েছে। তবে এ প্রাণহানির বিষয়টি স্বীকার করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
নর্দান এ্যালায়েন্স আরও জানিয়েছে, শান রাজ্যের লাশিও থেকে মুসে মহাসড়কের কুটকি মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৯টি সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার পর মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের অবসান ঘটে।
সংঘের্ষ নিজেদের কয়েকজন সদস্য আহত হলেও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি বলে দাবি করেছে নর্দান এ্যালায়েন্স। এটা মূলত দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী তিনটি গোষ্ঠীর একটি জোট। এই জোটে রয়েছে টিএনএলএ, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)।
এদিকে প্রাণহানির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিন তুন বলেন, ‘সংঘর্ষ হয়েছে সত্যি তবে ৩০ সৈন্যের প্রাণহানি অসম্ভব। আমরা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) একটি অস্থায়ী ঘাঁটি ধ্বংস করেছি। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক, সামরিক সরঞ্জামসহ ১০ বিদ্রোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
অন্যদিকে বার্মিজ সেনা সদস্যের নিহত হওয়ার খবর দিয়ে রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের শান রাজ্যের এই সংঘর্ষ দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির জন্য একটা বড় ধাক্কা। সূত্র-দ্য ইরাবতী।
এনএস/