প্রাথমিকে আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৩ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আরও প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী সভা।
৪ আগস্ট ২০১৯ শুরু হওয়া এই পর্যালোচনা সভায় কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ৫টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী - এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।
যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভার এ কর্মসূচিতে গত এক বছরে হাতে নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে খাতওয়ারি পর্যালোচনা, ষাণ্মাসিক পর্যালোচনা, হিসাব নিরীক্ষণ পর্যালোচনা, পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পর্যালোচনা করা হয়।
এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ সমূহে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণ করবে।
মান নিশ্চিতকরণ, ন্যায় সঙ্গত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন, অর্থ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠু সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব এ পাঁচটি বিষয় নিয়ে সভায় ডিসকাশন হয়। সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর পক্ষে আকিকো হানায়া আলোচনার প্রমাণপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদি চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকারের নেয়া প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর দ্বারা বাস্তবায়ন করছে।
এমএস/এসি