মসজিদ ছাড়া কি জুমার নামাজ হবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার
জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। جُمُعَة (জুমু'আহ) শব্দটি আরবী । এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামা'আতের সাথে সে দিনের যোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাযকে "জুমু'আর নামায" বলা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
মুসলমানদের জন্য জুমা একটি অন্যরকম দিন। এদিন আল্লাহর স্মরণ ও গুণকীর্তনে সচেষ্ট হয় এবং দুনিয়াবী কাজ-কর্ম ও ব্যস্ততা পরিত্যাগ করে আল্লাহ প্রদত্ত অপরিহার্য বিধান ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য এবং দিলকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করার জন্য আল্লাহর ঘর মসজিদে জমায়েত হয়।
এই দিনে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা একত্রিত হন। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- মসজিদ ছাড়া কি জুমার নামাজ আদায় করা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আল মাদানী বলেন, জামে মসজিদেই আসলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং জুমার নামাজের জন্য কিছু শর্তও রয়েছে। সেই শর্তানুযায়ীই সালাতুল জুমা হয়। তবে জামাত যদি অনেক বড় হয়ে যায়, সেখানে যদি ইমাম থাকেন, খুতবা দেওয়া হয়, পাশাপাশি অনেক মানুষ থাকেন। এই মানুষগুলো না কোনো মসজিদে ঢুকতে পারবে, না অন্য কোনো মসজিদে তাঁদের জায়গা হবে, এ ক্ষেত্রে তাঁরা যদি আলাদা জুমার নামাজ পড়তে চান, তাহলে সেটি হয়ে যাবে। কারণ তাঁরা জুমার শর্ত পূরণ করছেন। তাঁদের জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
জুমার নামাজের জন্য শর্তগুলো হচ্ছে-ইমাম থাকতে হবে, খুতবা থাকতে হবে, মুসল্লি থাকতে হবে, এমনিতে কোনো কারণে নয়, যদি জামাত অনেক বড় হয়ে যায়, তাহলে তাঁরা মসজিদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবেন। কারণ এতগুলো মানুষ কোনো মসজিদে চলে যাওয়া অথবা অন্য মসজিদে জায়গা হওয়া সম্ভব না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কারো বাসা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মসজিদ, এতদূরে না গিয়ে তাঁরা ১৫/২০ জন মিলে বাড়ির সামনেই জুমার নামাজ আদায় করে নেবে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।