ইরি মৌসুমে রাত দিন মাটির নিচ থেকে তোলা হচ্ছে পানি
প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার
ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার অন্যতম কারণ সেচ। গবেষকরা বলছেন, শুধু ইরি মৌসুমেই ১ কেজি চাল উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার লিটার পানি। এ অবস্থায় ইরি চাষ কমিয়ে বেশি বেশি আউশ এবং আমন চাষের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষাবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ইরি মৌসুমে রাত দিন মাটির নিচ থেকে তোলা হচ্ছে পানি।
সেচের কারণে যেভাবে ভূগর্ভস্থ পানি নেমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে নিরাপদ পানি পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন ইরি মৌসুমে মাটি নরম করতেই খরচ হয়ে যায় প্রচুর পানি। আগাছা যাতে না জন্মায় সেজন্য ক্ষেতে সবসময় পানি রাখতে হয়। সব মিলিয়ে যে পানি খরচ হয় তার উচ্চতা দাড়ায় ৬০ ইঞ্চি। অথচ গম চাষে প্রয়োজন মাত্র ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি পানি। আলু চাষে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পানিই যথেষ্ট।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে ১ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার লিটার পানির দরকার হয়। দেশের সেচের জমিতে গড়পড়তা ধানের উৎপাদন ৪ দশমিক ৩টন। সে হিসেবে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ৩ থেকে ৪ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন।
এ অবস্থায় ফসল উৎপাদনে সরকার নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে বলে জানালেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক।
পানির অপচয় বন্ধসহ খাদ্যাভ্যাস পাল্টে সুপেয় পানি সংরক্ষণের পরামর্শ কিবশেষজ্ঞদের।