অ্যান্টিগা টেস্টে চালকের আসনে ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে ভারত। ইশান্ত শর্মার ৫ উইকেট এবং জাদেজার ব্যাটিং পারফর্ম ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যদিও এটি অনিশ্চয়তার ক্রিকেট, তাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।
সকালটা যদি হয় রবীন্দ্র জাদেজার, তাহলে বিকেলটা অবশ্যই ইশান্ত শর্মার। টেস্টে নবম বারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন ডানহাতি এই পেসার।
প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৫৮টি রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও টপ স্কোরার অজিঙ্কা রাহানে। তার ব্যাট থেকে আসে ৮১ রান। ২৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮টি উইকেট হারিয়ে ফেলেন তারা। রান করেন মাত্র ১৮৯টি। এখনও ভারত থেকে পিছিয়ে ১০৮ রানে।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন ভারত করেছিল ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০৩ রান। দ্বিতীয় দিন শুরু করেন ঋষভ পন্থ আর রবীন্দ্র জাদেজা। ২৪ রান করে রোচের বলে প্যাভেলিয়নে ফিরতে বাধ্য হন পন্থ। এরপরই ইশান্ত শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১১২ বলে ৫৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাদেজা। ভারতীয় ইনিংসের একমাত্র ছয়টিও মারেন তিনি।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে যখন তিনি আউট হন তখন ভারতের স্কোর ২৯৭। অষ্টম উইকেটে ইশান্তের সঙ্গে মূল্যবান ৬০ রান যোগ করার পর শেষ উইকেটেও বুমরার সঙ্গে ২৯ রান যোগ করেন জাদেজা।
এরপর ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য যথেষ্ট আগ্রাসী ভাবেই শুরু করেছিলেন ক্যাম্পবেল-ব্রাথওয়েট জুটি। বিশেষ করে বুমরা বা ইশান্ত কাউকেই পাত্তা দেননি ক্যাম্পবেল। বাধ্য হয়ে মোহম্মদ শামিকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন বিরাট কোহলি। ক্যাম্পবেলকে বোল্ড করে ভারতকে মূল্যবান ব্রেক এনে দেন এই পেসার।
এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি অন্য ওপেনার ব্রাথওয়েটও। দুর্দান্ত কট অ্যান্ড বোল্ডে ইশান্তের প্রথম শিকার হন তিনি। মিডল অর্ডারে রস্টান চেজ ৪৮ রান এবং শিমরান ৩৫ রান করে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন কিন্তু ইশান্ত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজার বলের কাছে তাদের প্রতিরোধ তেমন ভাবে টেকেনি।
হেটমায়ারকেও দুর্দান্ত কট অ্যান্ড বোল্ড করেন ইশান্ত। দিন শেষে ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা এবং প্রথম ইনিংসে জাদেজার সঙ্গে মূল্যবান ১৯ রান করে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছেন ইশান্ত নিজেই।
এএইচ/