ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর নিজের একটি লেখা

বাংলার সবচাইতে জনপ্রিয় সাংবাদিক মানিক ভাই

শেখ মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

গভীর রাত। পিণ্ডি থেকে টেলিফোনে খবর পেলাম, মানিক ভাই আর আমাদের মাঝে নেই। মনে হলো চারদিক যেন ভয়ানক ফিকা, শূন্য, একেবারেই অন্ধকার। দাউ দাউ করে জ্বলছিল যেন এক মশাল, প্রজ্বলিত অগ্নিশিখায় চারপাশ ঝলমল, নাট্যশালার মহাসমারোহ; সব থেমে গেল।

এ যেন মুহূর্তের অনুভূতি। একটি সংবাদ, একটি বার্তা, মাত্র একটি ঘটনা। যে কতবড় হৃদয়বিদারক হতে পারে, কত বেশি মর্মান্তিক হতে পারে, তারই প্রমাণ।

পর মুহূর্তে আমার মানসে ফুটে উঠল দূর অতীত। ১৯৪৩ সাল। মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসভবনে কলকাতায় তাঁর সাথে আমার পরিচয়। একই নেতার দুই শিষ্য, যেন একই পিতার দুই সন্তান। বিগত পঁচিশ বছরের মধ্যে কোনদিনই আমরা বিচ্ছিন্ন হইনি, কোন ঘটনা আমাদের মধ্যে বিভেদ টানতে পারেনি। নেতা মারা যাবার পরেও আমরা এক ও অভিন্ন ছিলাম। বর্ষার মেঘরাজির ন্যায় তাঁর অপার স্নেহ সর্বক্ষণ আমাকে ঘিরে থাকত। বিশাল বারিধির ন্যায় তাঁর প্রশান্ত বিপুল বক্ষে আমার ঠাঁই হয়েছিল। কোন ষড়যন্ত্র, কানকথা, নিন্দাবাক্য সেখান থেকে আমাকে দূরে ঠেলে দিতে পারেনি। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল আবেগমিশ্রিত, হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতির রসে সিক্ত। মানিক ভাইর ভালোবাসার কথা আমি কোনদিনই ভুলতে পারব না।

আজ মানিক ভাই সম্পর্কে লিখতে বসে আমার কলম বার বার থেমে যাচ্ছে, আমার ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, হয়তো ভাববার ক্ষমতাও। তবুও মানিক ভাই সম্পর্কে আমার যেটা ব্যক্তিগত অনুভূতি, তা আমি প্রকাশ করব।

মানিক ভাইর কর্মময় জীবনের পরিধি খুবই ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাঁর সাথে আমার পঁচিশ বছরের পরিচয়ের ইতিহাস এদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ভাবধারার ঘাত-প্রতিঘাত, উত্থান-পতন, আলোড়ন-আন্দোলন, অগ্রগতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত। বাংলা ও পরবর্তীকালে পাকিস্তানের রাজনীতিতে মানিক ভাইর আসন দর্শকের গ্যালারিতে ছিল না। দূরত্ব বজায় রেখে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক বলে তিনি আরাম-আয়েশ ভোগ করেননি; বিপদসংকুল দুর্গম পথে পা বাড়িয়েছেন। নিজ জীবনের ঝুঁকি এবং অত্যাচারও নিপীড়নের মারগুলো মাথায় পেতে নিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে এগিয়ে নেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ত্যাগব্রতী শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিমূর্ত দেশপ্রেমিকতা, স্বাদেশিকতা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। গণশক্তির ওপর ছিল তাঁর প্রগাঢ় আস্থা। নিয়মতান্ত্রিক গণ-অভ্যুত্থানকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি ছিলেন ইবনে খালেদুন ও রুশোর প্রকৃতিদত্ত মানব স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্রের জাগ্রত চিন্তাবাহী, লিংকনের "Government of the people, by the people, and for the people" -এর পূজারি, প্রকৃতি প্রদত্ত বৈচিত্র্য মেনে নিয়ে ‘সব মানুষ সমান’ এই তত্ত্ববাদে বিশ্বাসী। নীতির প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। একান্ত কঠিন ও নিতান্ত অনমনীয়। পাষাণ প্রাচীরের ন্যায় অটল। কায়েমী স্বার্থের নিক্ষিপ্ত শরগুলো তাঁর বক্ষে এসে ভেঙে ভেঙে পড়েছে। ‘ইত্তেফাক’ বার বার বন্ধ হয়ে গেছে। মানিক ভাই টলেননি। রোগাক্রান্ত হয়ে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে দিন কাটিয়েছেন। তবু আপস করেননি।

মানিক ভাই ছিলেন কর্মবাদী পুরুষ। তিনি বিশ্বাস করতেন, কাজের মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে। পদের মাঝে নয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সনের নির্বাচন, ’৬২-র গণজাগরণ, ’৬৫ সনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, ১৯৬৬ সন ও তার পরবর্তীকালের স্বায়ত্তশাসন কায়েমের গণঅভ্যুত্থানে মানিক ভাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। কর্মী ও নেতাদের দিকনির্দেশ করেছেন। লেখনীর দ্বারা আমাদের দাবি-দাওয়াকে জনগণের দরজায় পৌঁছিয়ে দিয়েছেন, বিরুদ্ধ শক্তিগুলোর আক্রমণ প্রতিহত করেছেন। নিজের জন্যে কোনদিন তিনি কিছু চাননি। একটু ইঙ্গিত করলে, সামান্য আভাস দিলে, একটু পট-পরিবর্তন করলে প্রভূত ঐশ্বর্য মানিক ভাইর পায়ের কাছে এসে জমা হতো। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর একবার আমি নিজে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম, মানিক ভাই হেসে বলেছিলেন, “সংগঠন আপনাদের, কলম আমার।” প্রত্যাখ্যানের কি অপূর্ব সুন্দর পদ্ধতি। ১৯৫৫ সনে তাঁকে গণপরিষদের সদস্যপদ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছিল। তিনি সেদিনও তা গ্রহণ করেননি। আমার জানা আছে, আইয়ুব শাসনামলে তাঁকে বহুবার উচ্চ পদমর্যাদার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। তিনি ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিছু না চেয়ে দেবার যে প্রেরণা মানুষকে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দান করে, মানিক ভাইর মধ্যে সেই তাগিদ ছিল একান্ত আন্তরিক।

অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি ‘ইত্তেফাক’ দাঁড় করিয়েছিলেন। বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের অসহযোগিতা, অসহিষ্ণুতা, প্রতিকূল প্রতিবন্ধকতা ইত্তেফাকের যাত্রাপথে কণ্টক হয়ে দেখা দিয়েছিল। আর্থিক অস্বচ্ছলতা ছিল আরেকটি বড় বাধা। তাঁর সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সাহায্য করবার ক্ষমতা ছিল নিতান্ত সীমাবদ্ধ ও অপ্রতুল। ইচ্ছে থাকলেও কিছু করবার ক্ষমতা তাঁদের ছিল না। একমাত্র নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের দ্বারাই তিনি ‘ইত্তেফাক’ বাঁচিয়ে রেখেছেন। নিজের কর্ম দ্বারা তিনি বড় হয়েছেন। উপর থেকে কেউ তাঁকে টেনে তোলেন নি।

বাংলার সবচাইতে জনপ্রিয় সাংবাদিক ছিলেন মানিক ভাই। কলামিস্ট হিসেবে খোদাপ্রদত্ত গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি। সমস্যা-সচেতনতা, বাস্তবাশ্রিত আবেগ, অনুভূতির তীব্রতা, ভাষার সাবলীল গতি, বোধগম্যতা, যুক্তি-আশ্রয়ী মননশীলতা তাঁর রচনার বৈশিষ্ট্য। শক্ত বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করে পরিবেশন করবার ভাষা-চাতুর্য তিনি রপ্ত করতে পেরেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে নির্ভীকতা ও সততা তাঁর রচনাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। জীবনের ন্যায় লেখার মধ্যেও তিনি কোনদিন মিথ্যার প্রশ্রয় দেননি।

তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গণমুখী। জনগণের কথা বলার জন্যেই তিনি লেখনী হাতে নিয়েছিলেন। জনগণের ভাষায় তিনি কথা বলতেন। অলঙ্কারের বাহুল্যচমক তাঁর বিষয়বস্তুকে কোনদিন আবৃত করতে পারেনি। তিনি নিজে সৃষ্টি করেছিলেন এক নতুন সাংবাদিক ভাষা। কঠিন তাত্ত্বিক আলোচনার মাঝে রসালো গ্রামীণ গল্প ও সর্বজনপরিচিত কাহিনী সংযোগ করে তিনি তাঁর রচনাগুলোতে প্রাণসঞ্চার করতেন। শব্দ সংগ্রহ ও প্রয়োগে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক ও সিদ্ধহস্ত। তাঁর ব্যবহৃত শব্দগুলো অনেক সময় নিজস্ব আভিধানিক অর্থ ছাড়িয়ে নতুন অর্থ ব্যক্ত করত।

তিনি ছিলেন উঁচুদরের গাল্পিক। রসিয়ে গল্প বলার ব্যাপারে তাঁর সমকক্ষ আমি আর কাউকে দেখি না। Wit ও Humour-এর অপূর্ব সমন্বয় ঘটত তাঁর আলাপ-আলোচনায়। লেখার মধ্যেও আমরা এর প্রভাব দেখতে পাব। তত্ত্বগত তার্কিক আলোচনার পাশাপাশি সাধারণ রসালো গল্পগুলো স্থান পেয়েছে।

তাঁকে ভুল বুঝবার অবকাশ ছিল প্রচুর। যেন ক্ষ্যাপা দুর্বাশা। সব সময় যেন বিক্ষুব্ধভাব। আসলে তিনি ছিলেন ঘোর বিপ্লবী; অন্যায়, অত্যাচার, জালেম, জুলুমের বিরুদ্ধে সর্বদা খড়গহস্ত। উৎপীড়ন, নির্যাতনকারীদের প্রতি মারমুখী। অন্তরে তিনি ছিলেন কোমল। ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা জারক রসে তাঁর মন ছিল সিক্ত। মানিক ভাই ভালোবাসতে জানতেন। প্রাণ দিয়ে তিনি ভালোবেসেছিলেন বাংলাদেশকে। এদেশের মাটিকে, মানুষকে। তারুণ্যের প্রতি ছিল তাঁর সীমাহীন পক্ষপাতিত্ব। তরুণ রাজনৈতিক কর্মী ও নির্যাতনভোগীদের প্রতি তাঁর ছিল অন্তরের অশেষ দরদ। শেষের দিককার লেখাগুলোকে একেবারে নিজেকে উজাড় করে তিনি ধরা দিয়েছিলেন এঁদের কাছে।

তিনি ছিলেন এক সার্বক্ষণিক প্রেরণা। অতি বড় দুর্দিনেও তাঁর উপর আমরা ভরসা রাখতে পেরেছি। কাছে গিয়ে সাহস ফিরে পেয়েছি। তিনি নিষ্ঠাবান সংগ্রামী ছিলেন। সংগ্রামীদেরকে তিনি ভালোবাসতেন।

তিনি ছিলেন ভয়ানক আবেগ-প্রবণ। তাঁর হৃদয়ের সৃজনশীল তন্ত্রীগুলো সামান্য আলোড়ন ঝঙ্কার তুলতো। অনুভূতিপ্রবণ মন তাঁর ক্ষুদ্র কারণে বিস্ফোরিত হতো। আগ্নেয়গিরির ন্যায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠত। এরই মধ্যে ছিল একটা যুক্তিনির্ভর মনন। যাকে তিনি আক্রমণ করতেন, আঘাত করার জন্যে উদ্যত হতেন, যুক্তি নিয়ে, শুভবুদ্ধি নিয়ে, সৎ বাসনা নিয়ে, মানুষের কল্যাণের ইচ্ছে নিয়ে উপস্থিত হলে তার কথাই শুনতেন। ফলে তাঁর জীবনে দেখেছি এক অপূর্ব ভারসাম্য।

মানিক ভাই ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সাদাসিধে। বিলাস ও বাহুল্যকে তিনি কোনদিন কাছে ঘেঁষতে দেননি। সামান্য আসবাবে সজ্জিত ছিল ‘ইত্তেফাক’ অফিসে তাঁর ব্যক্তিগত বসবার ঘরখানি। একখানা মাত্র ডেকচেয়ার; সহযোগীদের জন্যে অতি সাধারণ টেবিল, ক’খানা চেয়ার, একটা বইয়ের আলমারি। সেদিন পর্যন্ত পুরাতন একখানা ভাঙা হিলম্যান গাড়ি ব্যবহার করেছেন মানিক ভাই। ভাঙা নড়বড়ে। মাঝপথে সেটা বন্ধ হয়ে যেত। তবুও মানিক ভাই পাল্টাতে চাননি, বুড়ো ড্রাইভার ও পুরাতন গাড়ি তাঁকে পেয়ে বসেছিল। শুনেছি, ছেলেমেয়েরা অনেক কষ্টে শেষতক সেটাকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছিল।

মানিক ভাই ছিলেন ঘোর সংসারী। নিজে তিনি বাজার করতেন। মাছ কিনবার দিকে তাঁর ছিল ঝোঁক। ভাবীকেও তাঁর সাথে যেতে হতো হাটেবাজারে। ছেলেমেয়েদেরকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। অমন স্নেহপ্রবণ পিতৃহৃদয়ের পরিচয় আমি আর পাইনি।

মানিক ভাই জানতেন, কি করে ক্ষমা করতে হয়।এই গুণটি নেতা শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছ থেকে অর্জন করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে মারাত্মক লোকসান ঘটিয়ে তাঁর কাছে এসে দাঁড়ালে তিনি ক্ষমা করে দিতেন।

সর্বোপরি মানিক ভাইকে আমরা পেয়েছি এক ঐতিহাসিক ব্যক্তি হিসেবে। মহাকালের আবর্তন-বিবর্তনের পথে যে মশালধারী বীর সেনানীরা আপন জীবনের স্বাক্ষর রেখে যায় ইতিহাসের পাতায়, মানিক ভাই তাঁদেরই একজন। এদেশের সত্যিকার ইতিহাস যদি কোনদিন লেখা হয়, তাহলে সেখানে মরহুম তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) তাঁর সত্য আসনটি পাবেন ও অমর-অক্ষয় এক প্রজ্বলিত জ্যোতিষ্কের ন্যায় সেখানে বিরাজ করবেন।

ধন্য বাঙালি জাতি, যে তাঁকে বক্ষ ধারণ করেছিল। ধন্য বাংলার সাংবাদিক পরিমণ্ডল, যে তাঁকে নিজেদের জগতে পেয়েছিল। ধন্য আমরা সকলে যে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহচর্য পেয়েছিলাম।

অকালে পরপারে পাড়ি জমিয়েও মানিক ভাই আমাদের সকলের মাঝে বেঁচে রইলেন।

দেশের-বিশেষ করে পূর্ববাংলার জন্য আজ এক সঙ্কটময় ক্রান্তিকাল। এ ক্রান্তিকালে মানিক ভাইর তিরোধান শুধু আমার বা আমাদের জন্য নয়, সাড়ে ছয় কোটি মানুষের জন্য এক বিরাট বিপর্যয়। আমরা পথ প্রদর্শককে হারিয়েছি। কিন্তু সেই পথের রেখা আমরা কিছুতেই মুছে যেতে দেব না। বরং, তাঁর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাঁরই পতাকা হাতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পথ কণ্টকাকীর্ণ, এতদিন যিনি ছিলেন পাশে সাহস ও ভরসার মতো, তিনিও নেই। তবু আমার একান্ত প্রার্থনা, যে পতাকা বহনের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি, তাকে সার্থক লক্ষ্যে পৌঁছে দেবার শক্তিও যেন অর্জন করতে পারি।

চিরবিশ্রামে শায়িত মানিক ভাইর স্মৃতির প্রতি এটাই হবে আমার শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ্য।

দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ই জুন ১৯৬৯

এএইচ/