ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তিন বোতল মধুই তাকে জেলে পাঠালো!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৫:২৪ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

মধুপ্রেমে শেষ পর্যন্ত তাকে জেলেই যেতে হলো। জামাইকা থেকে তিন বোতল প্রিয় মধু আনতে গিয়ে পুলিশের চোখে মাদক পাচারকারী বনে গেলেন লিওন হউটন।

তিন মাস টানা গারদে কাটানোর পর যখন নিরপরাধ প্রমাণিত হয়ে বাইরে বেরলেন, ততদিনে চাকরি-সম্মান সবটাই খুইয়েছেন হউটন। ছয় সন্তানের পরিবারও প্রায় পথে বসার জোগাড়।

২৯ ডিসেম্বর বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক থুরগুড মার্শাল বিমানবন্দরের সেই দিনের কথা মনে করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন হউটন। তিনি বলেন, ‘‘ওরা আমার জীবন তছনছ করে দিয়েছে। আমি সারা বিশ্বকে জানাতে চাই যে এই ব্যবস্থাপনায় কতটা গলদ আছে। আমার চারপাশের মানুষদের যদি প্রবল মানসিক জোর না থাকত তাহলে তাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে যেতেন।’’

ওই দিন জামাইকা থেকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন লিওন হউটন। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি মেরিল্যান্ডেই আছেন। আর প্রতিবছর ডিসেম্বরে জামাইকাতে যান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। হউটন মধু খেতে খুব ভালবাসেন। ফেরার সময় জামাইকার একটি দোকান থেকে তিন বোতল মধু কিনে নিয়েছিলেন।

কিন্তু বাধ সাধল বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন থুরগুড মার্শাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। মধুর বোতলগুলোকেই মাদক তরল মেটামফেটামাইন ভেবে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মেটামফেটামাইন একপ্রকার পার্টি ড্রাগ। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে। আগাম পরীক্ষা না করেই তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার এক সপ্তাহ পরে পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় বোতলের ওই তরল মেটামফেটামাইন নয়। কিন্তু তারপরও ছাড়া পাননি হউটন। ছাড়া পান তিন মাস পর। ওই তরল যখন আরও একবার পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তা মেটামফেটামাইন নয়।

কিন্তু ততদিনে হউটনের জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। নিরাপরাধ হওয়া সত্ত্বেও চাকরি চলে যায় হউটনের। ছয় সন্তান ও স্ত্রীকে সহ্য করতে হয়েছিল সামাজিক গঞ্জনা।

জেল থেকে বেরিয়ে এখন নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছেন ৪৫ বছরের হউটন।

এসি