ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৪:১৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস আজ। অদম্য মানসিক শক্তির জোরে এরিমধ্যে সমাজের মুল ধারায় ফিরতে শুরু করেছেন অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতা ও পুর্নবাসনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে, তাদেরকে নিয়ে আসা সম্ভব অর্থনীতির মুল ধারায়ও। পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের অতি পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু এই জাল দিয়ে যিনি মাছ ধরছেন, সেই আব্দুল মোতালেব একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। শুধু মোতালেব নন, তার  অন্য ভাইরাও যৌবনে পা দিতেই চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। রাজবাড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ চারজনই তাদের অদম্য ইচ্ছার জোরে আর দশজন সুস্থ মানুষের মত সমাজের মুল স্রোতে যুক্ত থাকতে চাইছেন। নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ করে বাঁচতে চান সমাজের আর পাঁচজনের মত। ৪ ছেলে এবং ৩ মেয়ের এই বাবা বলছেন জমাজমি বিক্রি করেও তাদের সুস্থ করতে পারেন নি। তাই হতাশার মাঝে দিন কাটে তাদের। চিকিৎসক বলছেন আত্মীয়র মধ্যে বিয়ে হওয়ায় বংশগত এ রোগের বিস্তার হচ্ছে। এ তো গেল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কথা, গাজীপুরের বিশিয়া কুড়িবাড়ি গ্রামের একই পরিবারের ১৪ জনের মধ্যে ৭ জনই অজানা পঙ্গুত্ব রোগে আক্রন্ত। তাইতো সংসার চালাতে খুলে বসেছেন মুদি দোকান । পঙ্গুত্বের অজনা আতঙ্ক পরিবারের অন্য সদস্যদেরও তাড়িয়ে বেড়ায় সারাক্ষন। মনে ভয়, আগামীতে তারা সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারবেন তো? চিকিৎসায় পুরোপুরি ভাল করা সম্ভব না হলেও পৃষ্ঠপোষকতা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীরাও সামাজের অংশ, তাই অর্থনীতির মুল ধারায় তাদের ধরে রাখতে হবে।