ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ঘোষণা

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৬ সোমবার

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্পষ্টত স্বাধীনতার ঘোষণা। বিশ্ব নেতারা কালজয়ী এ ভাষণকে দ্যা পোয়েট অব পলিটিকস বিশেষণ দেন। আন্তর্জাতিক বাস্তবতা মাথায় রেখে যেমন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না থাকলেও জাতি-রাষ্ট্র গঠনের সব নির্দেশনাই ছিল জাতির জনকের ভাষণে। ছিলো গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির ঘোষণাও। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু ভোগলিক স্বাধীনতাই নয়, মানুষের সার্বিক মুক্তিতে উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বের নীপিড়িত মানুষের মুক্তির প্রেরনা হয়ে থাকবে। ইতিহাসের অমোঘ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুক্তির ঘোষণা আসে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠে। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অনন্য দলিল। যুগে যুগে স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রেরনার উৎস। সবাই তাকিয়ে ছিলেন বাঙালির নেতা কি বলেন? তার দিকে। তিনি কি বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হবেন, নাকি বাঙালির আন্দোলন মুক্তির আন্দোলন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা নয়, সার্বিক মুক্তির আহ্বান ছিল জাতির জনকের ভাষনে। সু কৌশলে বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌলিক ঘোষণা। ঐতিহাসিক এ ভাষণ বাঙালির মুক্তির আকাঙ্খাকে জাগিয়ে তোলে। বাঙালি পায় একটি মানচিত্র, লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। অথচ জাতির জনক ৭ই মার্চ যে স্থানটিতে দাড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেইসময়ের রেসকোর্স ময়দানের জায়গাটি এখনও অবহেলিতই রয়ে গেছে ।