যুদ্ধাপরাধ: রাজশাহীর ফিরোজ খাঁ’র ফাঁসি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়ার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’র ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের ১৭৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই তাকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।
নিয়ম অনুযায়ী, রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন ৬২ বছর বয়সী আব্দুস সামাদ।
এর আগে গত ৮ জুলাই এ মামলায় প্রসিকিউশন ও আসমিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখে (সিএভি) আদেশ দেয়।
এটি হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩৯ তম রায়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) প্রসিকিউশনের ১৫ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষে কোনো সাফাই (ডিফেন্স) সাক্ষী ছিল না।
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়। এরপর গত ৪ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে ৮ জুলাই শেষ হয়। ওইদিন মামলাটির রায় অপেক্ষমান রেখে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
রাজশাহীর পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো.আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ মুক্তিযুদ্ধের আগে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। আসামির বিরুদ্ধে মামলায় মুক্তিযুদ্ধকালে চারজন সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠন এবং ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি ফিরোজ খাঁ’কে গ্রেফতার করা হয়।