‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনী শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:০৪ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাতাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার গোপালগঞ্জের শেখ মনি অডিটোরিয়াম, ব্রাহ্মনবড়িয়ার আখাউড়ায় শহীদ স্মৃতি কলেজ এবং ঢাকার সরকারি বাংলা কলেজে ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ শহরের শেখ ফজুল হক মণি অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা নাটক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধূরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী, জেলা কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল ২৯ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দশবত কলেজ থিয়েটারের পরিবেশনায় কলেজ অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায়, বাংলা কলেজ যুব থিয়েটারের পরিবেশনায় মিরপুর বিশ^বিদ্যালয় কলেজে বেলা ১২টায়, এবং গোপালগঞ্জের শেখ মনি অডিটোরিয়ামে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবন-ভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’। লিয়াকত আলী লাকী’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, সুর সংযোজনা ও নির্দেশনায় মাসব্যাপী দেশের বিভিন্নস্থানে এই নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঝিনাইদহ, গাজীপুর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ২০টি স্থানে এটি প্রদর্শিত হবে।
গল্পসংক্ষেপ:
বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবন-ভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’। আবহমান বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, শোষণ-বঞ্চনা, দ্রোহ ও মুক্তির স্বপ্ন বিনির্মাণ এই নাটকের মূল উপপাদ্য। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, তেইশ বছরের পাকিস্তানি অপশাসন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে দেশ গঠন এবং তার মহাপ্রয়াণ এই নাটকের উপাত্ত।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও মহাপ্রয়াণভিত্তিক রাজনৈতিক আলেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’তে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ধারাবাহিক ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, মহান সংগ্রামী জীবন ও মহাপ্রয়াণ ক্রমান্বয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। পাক-হানাদারদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের হিংস্র চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে। তাই ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকটি ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে রচিত বিশেষ প্রযোজনা।
নির্দেশকের কথা:
ইতিহাস নির্ভর নাট্য নির্মাণ চিরকালই কঠিন কাজ। আর একজন মহাপুরুষের সংগ্রামী জীবন নিয়ে শিল্প নির্মাণ আরো কঠিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, স্বপ্ন ও সংগ্রাম, তাঁর বিভিন্ন সময়ের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মের ভেতর দিয়ে তার দেশপ্রেম, একটি জাতির মুক্তির পথ নির্মাণ এবং বাংলা নামে দেশ স্থাপন সংগীত, কোরিওগ্রাফ ও কবিতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। ফিজিক্যাল থিয়েটারের উপাদান এবং বিভিন্ন ইমেজ ব্যবহার করতে হয়েছে ইতিহাস এবং মহামানবের জীবন, স্বপ্ন ও সংগ্রামের ছবি আঁকতে গিয়ে। ইতিহাসের শিল্পিত উপস্থাপন ও জাতির পিতার একটি জাতি ও দেশ নির্মাণ ও তাঁর মহাপ্রয়াণে নিরীক্ষাধর্মী শিল্প শৈলী, নানা ইমেজ ও কোরিওগ্রাফের ভেতর দিয়ে উপস্থাপনই এই প্রযোজনার মূল কর্ম। ইতিহাসের সত্যের চেয়ে শিল্পের সত্য অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি আবেগ আশ্রিত কাব্যিক শিল্প উপস্থাপন ‘মুজিব মানে মুক্তি’।