ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জাবিতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:০৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রলীগের উদ্যেগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের কমনরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব পেয়েছি বলেই আজ আমরা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি। এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় দিতে পারি। 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব শুধু এদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ছিলেন বিশ্বের নেতা। সারাবিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গর্ব করতো। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনাও তারই পথে হেঁটে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও আবাসিক সমস্যা নিরসন করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে উপাচার্য যে বরাদ্দ পেয়েছেন তার অংশ হিসেবে ৬টি হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি মহল এই উন্নয়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। বাম সংগঠনের চেয়েও ছাত্রলীগ সংখায় অনেক বেশি এবং শক্তিশালী। সংখ্যায় যারা বেশি তারা যা চাইবে তাই হবে। ছাত্রলীগ কর্মীদের উচিত এই উন্নয়নে প্রশাসনেরর পাশে দাঁড়ানো। 
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজয় যারা মেনে নিতে পারেনি, তারাই এ হত্যাকা- করেছে, এদেশকে আবার পাকিস্তান করার জন্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হলে তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিনে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি। তিনি সময় অসময়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিভিন্ন শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, শোষিত মানুষের অধিকার আদায় করে বঙ্গবন্ধু হয়েছেন। নিজেদেরকে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিলেই হবে না, তার আদর্শকেও মনে ধারণ করতে হবে এবং তা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগ কর্মী খোন্দকার নাঈম-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ শিকদার, মো. রেজাউল করিম রচি, বায়জিদ রানা কলিন্স, আসাদুজ্জামান আশিক, ও দপ্তর সম্পাদক এম মাইনুল হুসাইন রাজন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।