বিএনপির ৪২ বছর : দিশেহারা নেতৃত্ব, তৃণমূলে ক্ষোভ
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ
প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৫:৫৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া দলটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে নিজেই যেন নানা সংকট ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। কারাদণ্ড ভোগ করছেন দলটির প্রধান এবং বিলেতে পলাতক রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান। যারা নেতৃত্বে আছেন তারা দল পরিচালনায় স্পষ্ট বা শক্তিশালী সিদ্ধান্তও দিতে পারছেন না। এমন অবস্থায় অদূর বা দূর ভবিষৎ ভালো নয় এমন শঙ্কায় আছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে কেন্দ্রের নেতৃত্ব ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলছে। দলটির কয়েকটি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা একুশে টেলিভিশনকে এ ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানান।
রাজনীতিতে বিএনপি দৃশ্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতিতে বিএনপি'র শক্ত অবস্থান দেখা যায়নি। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে দলটির টানা অবরোধ কর্মসূচী রাজনৈতিক সফলতার মুখ দেখেনি। বিএনপির’র মতো একটি রাজনৈতিক দলের নিষ্ক্রয়তা দেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা এক বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খালেদা জিয়াকে ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যায় দলটি। নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবির পর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন না মানার কথাও দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়। দলের জয়ী সংসদ সদস্যরা সংসদে যোগ দিবেন না এমন বলে ঢাকঢোল পিটিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে নানা নাটকীয়তা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বাদে নির্বাচিতরা সংসদে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যেই বেশ তোপের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূলের সমালোচনায় পড়েছেন দলীয় নীতিনির্ধারকরা। নিজেদের কৌশল ও শক্তি কাজে লাগাতে পারে নাই কেন্দ্র এমনটি দাবি তৃণমূলের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাংর্ঘষিক অবস্থানের কারনে কেন্দ্রের উপরই ভরসা হারিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
দুর্নীতির দু’টি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া
নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মাঠে নেই দলটি। রাজনীতির ব্যার্থতায় দলটি জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যেই বাড়ছে হতাশা অন্যদিকে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলে। তৃণমূলকে গুরুত্ব না দিয়ে দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারনেই আন্দোলন করা যাচ্ছে না বলে দলের নীতিনির্ধারকদের প্রতি ক্ষোভের কথা বলেন তৃণমূলের নেতারা।
রাজনীতিতে কথা ও কাজের মধ্যে মিল থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির বিষয়ক সম্পাদক মোজাফফর হোসেন। রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতা বলেন, ‘বেগম জিয়া কারাগারে এবং তারেক জিয়া দেশে না থাকায় দল এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। এখন এমন কোন কথা বলা যাবে না যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে রংপুরের অন্য এক নেতা বলেন, ‘আমরা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির কোন কূল কিনারা দেখছি না। তৃণমূলকে কাজে লাগাতে পারছে না কেন্দ্র। কেন্দ্র মনে করছে তারা ঠিক করছে কিন্তু তারা তো ভালো কিছু উপহার দিতে পারছে না।’
লন্ডনে পলাতক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তিনি একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় নেতারাই খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেণ বলে দাবি করেন পিরোজপুরে জেলা বিএনপির একজন নেতা। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপকালে বলেন, ‘বিএনপি সঠিকভাবে জনগনকে কাজে লাগাতে পারছে না অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তার সকল কৌশল কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি নিজ দলের ব্যার্থতার ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘ধরুন সরকার বলছে দেশে এখন উন্নয়নের জোয়ার বাইছে। আমরা যারা বিএনপি করি তারা দেখছি উন্নয়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। সরকার কিন্তু জনগনকে বিশ্বাস করাতে সমর্থ হয়েছে যে উন্নয়ন হচ্ছে। অন্যদিক উন্নয়ন হচ্ছে না এমনটি আমরা কিন্তু জনগনকে বিশ্বাস করাতে পারছি না। উন্নয়ন হোক বা না হোক সরকার এ দিকে থেকে সফল আমি বলব। কেন্দ্র বলছে সরকার প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে। বিষয়টা আমার কাছে হাস্যকর। কারণ কোন দল, সরকারের থাকলে তারা তো তো প্রশাসনকে কাজে লাগাবেই। সরকার তো আর প্রশাসনেকে কাজে না লাগিয়ে আমাদের জন্য বসে থাকবে না।’ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘পাতি শিয়াল’র উপমা টেনে তিনি বললেন, ‘এসি গাড়িতে ঘুরে ও এসি রুমে বসে বক্তব্য দিলে কোনকালেই আন্দোলন হবে না। জনগনকে আন্দোলনে নেওয়া যাবে না।’ দলের নেত্রীকে মুক্ত করতে না পারা একমাত্র দলের দায় বলে মনে করেন এ জেলার অনেক নেতাকর্মী।
গেল একাদশ সাধারণ নির্বাচনে দলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার জন্য কেন্দ্রকেই দায় দিচ্ছে তৃণমূল। নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এর প্রধান কারণ। নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কোন আলোচনা করেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে পাল তোলায় বিএনপির এ করুন দশা হয়েছে বলে মনে করেন তারা। নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মুমিন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কিছুটা ভুল হয়েছে। রাজনৈতিক দলে কিছুটা ভুল থাকা অস্বাভাবিক নয়।’ কেন বিএনপি তার আন্দোলনে জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারল না এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জনগন সরকারের ভয়ে আছে বলে আন্দোলনে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা যায়নি।’
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই এখন দলটিকে প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করছেন।
খালেদা জিয়া কারাগারে থাকাটা দলের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি উল্লেখ করে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান সারওয়ার বলেন, ‘বেগম জিয়া কারগারে অন্যদিকে তারেক জিয়া দেশের বাইরে থাকায় দল ক্ষতির মুখে। এরপরও বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে।’ বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে বা তারেক জিয়া দেশে ফিরতে না পারলে দলের ভবিষৎ নেতৃত্বের বিষয়ে তৃণমূল কি ভাবেছে এমনটি জানতে চাইলে তিনি জানান, দলের নীতিনির্ধারনী পরিষদের মাধ্যমে বিষয়টি দেখা হবে।
এদিকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুইটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যাওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকছেন এখন পর্যন্ত। এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন না হলে তারেক জিয়ার দেশে ফেরার কোন সম্ভবনাই দেখছেন না নেতাকর্মীরা। এমন অবস্থায় বিএনপির ভবিষৎ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির বর্তমান অবস্থার জন্য দলটি নিজেই দায়ি। দলটি নিজেই নিজের গায়ে কালিমালিপ্ত করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার। তিনি একুশে টেলিভিশনকে বলেন, ‘বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। তবে তাদের জনসমর্থন যে নেই তা বলা যাবে না বরং তাদের একটা বড় অংশের সমর্থন রয়েছে।’
বিএনপি কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন দলের মধ্যে দুঃসময়। আবার অনুকূল পরিবেশ পেলে তারা দাঁড়িয়ে যেতে পারে।’ বিএনপির এ ঘরহারা হওয়ার নিজেদের জন্য কতটুকু দায়ি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মূলত বিএনপি জিয়া পরিবারের বাইরে নয়। দলের নেতৃত্ব দেওয়া জিয়া পরিবারের যে দুইজন জেলে থাকার কারনেই হোক বা বিদেশে থাকার কারনেই হোক তারা দলের সঙ্গে সরাসরি নেই বলে এমনটি হয়েছে। জিয়া পরিবার ইনঅ্যাকটিভ না থাকলে এমনটি হয়ত হতো না।’ বিএনপির এমন দশার কারনে দেশের রাজনীতি তেমন একটা ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এ অবস্থার জন্য দেশের তেমন একটা ক্ষতি হচ্ছে না। শুধু মাত্র একটা সুন্দর গণতান্ত্রিক রিবোধী দলের অভাবে পড়তে হচ্ছে।’ বিএনপি কি সেই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পেরেছে কিনা বা পারবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা তা পারেনি এবং পারতও না।’ বিএনপি থাকুক বা না থাকুক এমন ঘরনার দল সহসা বাংলাদেশে নিশ্চিহ্ন হবে না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন রাজনীতি পড়ানো এ শিক্ষক।
১৫ বছর সরকার চালানো এ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন বিএনপি ঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র উপর অনেক নির্যাতন চালানো হলেও দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলকে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিলেও কোন আন্দোলনেই জনসম্পৃক্ততা ঘটাতে পারেননি। কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কোন কোন সময় তৃণমূলের নেতারা মুখও খুলেছেন বলে জানা যায়।
রাজপথে লড়াই করে দলের চেয়ারর্পাসনকে মুক্ত করা হবে এমনটি বলা হলেও কর্মসূচি না থাকায় দমে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতারা রাজপথে কেন কয়েক হাজার লোকেরও সমাগম ঘটাতে পাড়ল না এমন প্রশ্ন তৃণমূলের। দলীয় প্রধানকে ছাড়া প্রায় দুই বছর পার করলেও কোন শক্ত অবস্থান দেখাতে পারেনি দলটি। রাজপথ বা আদালত কোন অবস্থা থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভবনা না থাকায় এর ব্যার্থতা কেন্দ্রীয় নেতাদেরই নিতে হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি অবিশ্বাসের কথাও উঠছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে দলের তৃণমূল ও কেন্দ্রর মধ্যে কোন সমন্বয়হীনতা নেই বলে জোর দাবি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একুশে টেলিভিশনকে বলেন, ‘দলের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতার কথা শোনা যাচ্ছে সেটি সঠিক নয়। কোথাও কোন সমন্বয়হীনতা নেই।’
তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় নেই এতে দল পিছিয়ে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে বর্তমানে দল আগের চেয়ে বেশি সংগঠিত হচ্ছে। বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে তাদের নির্যাতন নিপিড়নের মধ্যেও আমার যথেষ্ট সংঠিত আছি। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
আপনারা আপনাদের আন্দোলনে জনগনের পুরো সমর্থণ পাচ্ছেন না কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট জণসমর্থণ পাচ্ছি। খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আমরা যে জনসভা করেছি সেখানে জনগনের বেশ সারা পেয়েছি। সে জনসভা কিন্তু আমরা জোট থেকে করি নাই। নিজেরাই করেছি।’ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে অথবা তারেক জিয়া দেশে ফিরতে না পারলে সে ক্ষেত্রে বিএনপি কিভাবে চলবে এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কথা আমরা ভাবছি না। বাস্তবতার বাহিরে গিয়ে ভাব তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
নির্বাচনে সরকার ভোট কারচুপি করে জয়ী হয়েছে এমনটি আপনারা দাবি করলেও জনগন তো সরকারের বিরোধীতা করছে না সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ব্যার্থ কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার শুধু কেন বলব, আপনারা দেখেন নাই নির্বাচন কিভাবে হয়েছে? সরকারের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা কিন্তু সরকার সেটা না করে ক্ষমতা যাওয় জন্য যা করার দরকার তা করেছে।’
এমএস/