ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফের বিক্ষোভে উত্তাল হংকং

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০২ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে হংকংয়ের রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। অপরদিকে বিক্ষোভকারীরাও বোতল বোমা ছুড়ে রাজপথে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিক্ষোভে যাতে উস্কানি না দিতে পারে সেজন্য গতকাল আইনসভার তিন সদস্যসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকজন গণতন্ত্রকামী নেতাকে গ্রেফতার করেছিল হংকং পুলিশ। আর বিক্ষোভের ব্যাপারে জনগণকে হুঁশিয়ারিও করেছিল।

কিন্তু সবকিছু উপেক্ষো করে আজও বিক্ষোভে উত্তাল হল হংকং নগরী। প্রতিবাদের প্রতীক কালো টি-শার্ট আর জলকামান থেকে বাঁচতে রঙিন ছাতা নিয়ে স্থানীয়রা শহরের অর্ধেক রাস্তার দখলে নেয়। সকালের প্রতিবাদ-মিছিল সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠে হিংসাত্মক। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছিল বোতল বোমা।

সন্ধ্যায় তারা হংকংয়ের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করে। এছাড়া পুলিশের সদর দফতরের সামনের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় আধ ঘণ্টা কালো ধোঁয়ায় ঢাকাছিল হংকং শহরের আকাশ।

গতকাল চীনের পররাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এই বিক্ষোভকে তুলনা করা হয় সন্ত্রাসের সঙ্গে। তবে আজ বেইজিংয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, শেনঝেন সীমান্তে দাঙ্গা-দমনকারী পুলিশের মহড়া আর জোরদার করা হয়েছে। ফলে চীনা সেনাবাহিনীর হংকংয়ে ঢোকার জল্পনা আরও জোরদার হয়ে গেল।

আজ সকাল থেকেই শহরের আকাশে ঘুরে বেড়িয়েছে পুলিশের কপ্টার। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে দিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।  কিন্তু হংকংয়ের সাধারণ মানুষ সে কথা একেবারেই আমলে নেয়নি। তার প্রমাণ আজকের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

আজ বিক্ষোভকারীদের একাংশ শহরের প্রশাসক ক্যারি ল্যামের বাড়ির সামনে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল পুরোপুরি প্রত্যাহারের পাশাপাশি ক্যারির পদত্যাগে দাবিতে এতদিন ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছিল হংকংবাসী। এ নিয়ে ১৩তম সপ্তাহে পড়ল হংকংয়ের বিক্ষোভ।

এএইচ/