তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানার অভিযোগে মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল এ মামলার আবেদন করেন।
মামলার বাদী আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাহেরীর বিরুদ্ধে পিটিশন মামলার আবেদন আদালতে জমা দিয়েছি। মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে আদালতে শুনানি চলেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বাদী বলেন, ইসলাম ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী তার মাহফিলে এমনটাই করছেন। ওয়াজ-মাহফিলের নামে তাহেরী অশ্লীলতা ছড়াচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া তার ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করে তিনি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছেন। জিকিরের সময় অদ্ভুত রকমের শব্দ উচ্চারণ ইসলামের কোথাও উল্লেখ নেই।
এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাহেরি কোরআন ও হাদিস অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন মামলার বাদী ইব্রাহীম খলিল।
উদাহরণ হিসেবে এই আইনজীবী বলেন, এক মাহফিলে অজ্ঞাত ব্যক্তির উক্তি দিয়ে বিড়ি খাওয়ার একটি দোয়া শ্রোতাদের শোনান তাহেরি। যা ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে।
ইব্রাহীম খলিল আরও বলেন, তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদ’আত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রচারকারী নন, অপপ্রচারকারী। তাকে এখনই না থামালে মানুষ ধর্ম বিষয়ে ভুল অনুধাবন করবে। এজন্যই তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেয়া মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী সুফিধারার আলেম হিসেবে পরিচিত। তিনি দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেও জানা গেছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তার এক মাহফিলে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ বলায় সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে নানা ট্রল ও ভিডিও। এরপর কিছুদিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় আসেন এই বক্তা।
এনএস/