ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫২ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১১:৫৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা এই ট্যাংক বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের আল মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, আজ (রোববার) ইসরাইলের আভিভিম সামরিক ঘাঁটির সড়কে রাখা দুটি সামরিক যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ’র দুটি সশস্ত্র গ্রুপ। এতে একটি সামরিক যান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং অপরটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ইসরাইলি সেনারা হতাহত হয়েছে।
হামলার কথা নিশ্চিত করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরাইলি ঘাঁটি ও সামরিক যান লক্ষ্য করে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে একটি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরাইলের চার কিলোমিটার ভেতরের এলাকার একটি গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। হামলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামের কাছে একটি উন্মুক্ত আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সীমান্তে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে ইসরাইলির সেনাবাহিনীকে। এছাড়া, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে সামরিক বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণও স্থগিত করেছে ইসরাইল।
শনিবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাজধানী বৈরুতে সাম্প্রতিক ইসরাইলি ড্রোন হামলার জবাব দেয়ার যে সিদ্ধান্ত তার সংগঠন নিয়েছে তার কোনে নড়চড় হবে না। তিনি বলেছেন, গত সপ্তাহের ড্রোন হামলার জন্য ইসরাইলকে ‘মূল্য পরিশোধ করতে হবে’।
গত সপ্তাহে ইসরাইলি ড্রোন হামলার পর হিজবুল্লাহ নেতা তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর লেবাননের শেবা কৃষি খামার সংলগ্ন সীমান্তে ইসরাইল সেনা সমাবেশ শক্তিশালী করেছে।
এসি