বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান সরকারের আমালে অভূতপূর্ব সাফল্যের পরেও ঘাটতি
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০৫ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান সরকারের আমালে অভূতপূর্ব সাফল্যের পরেও ঘাটতি রয়েই গেছে। ভবিষ্যতে চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এগুতে নতুন নতুন প্রকল্পের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানির কৌশল নিয়েছে সরকার। এতে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলেও মনে করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পরই বিদ্যুৎখাততে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। নতুন নতুন কেন্দ্রস্থাপনে এখণ প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে, ভারত থেকে আসছে আরো ৬ শ মেগওয়াট। এর পরেও রয়েছে ঘাটতি। আবাসিক ও শিল্প বাণিজ্যে বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ। আবাসিক খাতে প্রতিদিনই আসছে নতুন সংযোগের চাহিদা, ঘাটতির কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও চাহিদামতো সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। বিজিএমএ সভাপতি জানালেন, তৈরী পোষাক খাতে প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম। ভবিষ্যতে চাহিদা আরো বাড়বে, এমনটা মাথায় রেখেই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেও তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদিত বিদ্যুতের সিংহভাগ আসে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। এ কারণে ভবিষ্যতের সংকট মোকাবেলায় সরকারকে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন এ বিশেষজ্ঞ।
এদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রাখতে প্রয়োজনে ভারত থেকে আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়লে দামও সমান তালে বাড়বে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানালেন, মাথাপিছু আয় বাড়লে গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের মূল্যও সহনশীল হবে।
১৫ টি ব্যাক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন পাওয়ায় ঘাটতি পূরণের সুযোগ সৃষ্টি হলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় কার্যক্রমে গতি নেই। তবে প্রকল্পগুলো চালু হলে এ খাতে অগ্রগতির নিশ্চয়তা আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।