ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শিশু জন্ম নিলেই মিষ্টি ফুল গাছের চারা উপহার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

শিশু জন্ম নিলেই তার বাবা মা’র কাছে পৌঁছে যায় ফুল, মিষ্টি এবং গাছের চারা। জন্ম হওয়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন যথাসময়ে করাতে এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। 

এলাকাবাসী বলছেন এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রতিদিন কোন শিশুর জন্ম নিলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বাড়ী। শিশুর অভিবাবকের কাছে পৌঁছে যায় নবজাতকের জন্ম নিবন্ধন সম্পর্ণ করার বার্তা।

জানা যায়, নবজাতকের জন্ম ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের মধ্যে হলে ইউএনও নিজেই যান সে বাড়িতে। পৌর শহরের বাইরে নবজাতকের জন্ম হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কাজটি করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। 

সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ার কাশেম ও বিউটি দম্পতির সন্তানের আগমন বার্তা শোনা মাত্রই ইউএনও মিষ্টি গাছের চারা ও ফুলের তোড়া নিয়ে ছুটে যান তাদের বাড়িতে। পৌর শহরের সারুটিয়া মহল্লার রফিকুল ও মায়া দম্পতির শিশুর জন্ম উপলক্ষ্যে রোপন করা হয় গাছের চারা। এ দিকেও ইউএনও’র এ উদ্যোগটি দেশে নতুন না হলেও পাবনা জেলাতে এ প্রথম। 

ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘মূলত তিনটি বিষয় মাথায় রেখে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। শিশুটির জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার মা-বাবা যেন কোনো লুকোচুরি না করে প্রকৃত দিনক্ষণে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করে। এ সম্বন্ধে মা-বাবাকে সচেতন করা। এতে একটি শিশুর বারবার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করা নিয়ে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও শিশুর অভিভাবক। শিশুটি বড় হয়ে এই বিষয়টি জেনে নিজেকে উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসাহ পাবে। গাছের চারা বড় হয়ে ও শিশুর পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা দেবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় সকলে থেকে রক্ষা পাবে।’

ভাঙ্গুড়া সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুজ্জামান তরুণ বলেন, ভাঙ্গুড়ার মতো ছোট্ট একটি উপজেলার মানুষের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগের ফল অনেক সুদূরপ্রসারী।

এমএস/এসি