ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

এনবিআর সদস্য হলেন জামাল হোসেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেনকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারী) হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পদোন্নতির আগ পর্য ন্ত তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পূর্ব) এর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পদোন্নতির পর গতকাল বিকেলে তিনি এনবিআরে যোগদান করেন।

যোগদান শেষে তিনি বলেন, এ পদে থেকে যাতে দেশের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারি, এনবিআরকে শক্তিশালী করতে পারি প্রধানমন্ত্রীর হাত এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে ১৮ আগস্ট কমিশনার মো. জামাল হোসেনকে সদস্য পদে চলতি দায়িত্ব দিতে এনবিআর থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। চলতি ১১ আগস্ট এনবিআর সদস্য শাহনাজ পারভীন অবসরে যাওয়ার পর পদটি শূন্য হয়। মো. জামাল হোসেন শাহনাজ পারভীনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

জামাল হোসেন ১৯৬১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মসদগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণি পর্য১ন্ত তিনি গ্রামের স্কুলেই লেখাপড়া করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৪ সালে অর্থনীতিতে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরে ২৬ জানুয়ারি সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এছাড়া তিনি হার্ভাড থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি রাজস্ব আহরণে ভূমিকা রেখেছেন।

এছাড়াও জামাল হোসেন একজন সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিসেবী। খেলাধুলা ও সংগীতচর্চা তার দুইটি নৈমিত্তিক কাজ। ক্রিকেট ও লন টেনিস প্রিয় খেলা। তিনি নিজেও একজন সোখিন লন টেনিস খেলোয়াড। স্ত্রী শাহীন আক্তার ও কন্যা রঙ্গনকে নিয়েই তার ছোট্ট সংসার। শাহীন আক্তার বিসিএস (ট্যাক্সসেশন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। চাকরির পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করেন। ইতোমধ্যে ‘কোথা সে ছায়া সখী কোথা সে জল’ ও ‘সুবর্ণ দ্বীপে’ শিরোনামে দুইটি ছোটগল্প গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রথম কবিতার বই ‘ভালোবাসার গণতন্ত্র’ ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় পাঠকনন্দিত কাব্যগ্রন্থ ‘হরিণ চোখের শ্যামা মেয়ে’। পাশাপাশি তিনি নাটক ও গান লেখেন। সম্প্রতি কয়েকটি গান ও নাটক নির্মিত হয়েছে।