আফগান শিবিরে নাঈমের জোড়া আঘাত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম সেশনটায় দারুণ বোলিং করেছিল টাইগাররা। তিনটি উইকেটও তুলে নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ধারালো বোলিং করতে পারেনি তারা। ফলে বড় জুটি গড়ে আফগানিস্তান। তবে চা বিরতির পরই আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। যাতে শেষ সেশনের শুরুতেই স্বস্তিতে ফিরলো বাংলাদেশ দল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৬ রান। ক্রিজে আছেন ফিফটি পূরণ করা আসগর আফগান ৫২ রানে এবং আফসার জাজাই ৬ রানে।
এর আগের সেশনে সাবলীল ব্যাটিং করে শতাধিক রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। চা বিরতির পর নেমে নাঈমকে চার মেরে সেঞ্চুরিও করেন রহমত শাহ। কিন্তু পরেই বলেই সৌম্যের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান নাঈম। যাতে ভেঙে যায় তাদের ১২০ রানের কার্যকর জুটি।
আউট হওয়ার আগে ১৮৭ বল খেলে দশটি চার ও দুটি ছক্কার সাহয্যে ১০২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ওয়ান ডাউনে নামা এই আফগান। তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
রহমত শাহকে ফেরানোর দুই বল পরই ক্রিজে নতুন আসা মোহাম্মদ নবীকে সাজঘরের পথ দেখান তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। যার ফলে ১৯৭ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রশিদ খান। ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন সফরকারীদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান ও ইহসানউল্লাহ।
যাতে পরিপূর্ণ স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটের দেখা পায় ১৩তম ওভারে গিয়ে। আফগানদের সংগ্রহ তখন মাত্র ১৯ রান। ৩৬ বলে ৯ রান করা ইহসানউল্লাহকে বোল্ড করেন তাইজুল। এ উইকেটটি নেয়ার মাধ্যমেই ২৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম শত উইকেট শিকারির রেকর্ড গড়েন বাঁহাতি এই স্পিনার।
এরপর আফগান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাতটিও হানেন মাইলফলক ছোঁয়া তাইজুলই। তার বলে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহিম জাদরান। যেটা একটু দৌঁড়ে গিয়ে লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইব্রাহিম ফেরেন ২১ রান করে, ৬৯ বল মোকাবেলা করে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার। ফলে দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।
এরপর আফাগানদের স্কোরে ৭৭ রান জমা হতেই তৃতীয় আঘাতটি হানেন পার্টটাইম বোলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই শাহিদিকে সাজঘরের পথ দেখান রিয়াদ। ৩২ বলে ১২ রান করে সৌম্যের তালুবন্দী হন এই আফগান ব্যাটসম্যান।
তবে এরপরই পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন ওয়ান ডাউনে নামা ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ও পাঁচ নম্বরে নামা আসগর আফগান। গড়ে ফেলেন শতাধিক রানের মূল্যবান এক জুটি। যার ফলে (এখন পর্যন্ত) টানা ৩৫ ওভার উইকেট বঞ্চিত রাখেন বাংলাদেশি বোলারদের, বিশেষ করে স্পিনারদের।
এনএস/