ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গৃহবধূকে পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন চিকিৎসকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূর কাছে ঘুষ দাবি করে তা না পেয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। ঐ গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আলামত পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার পরীক্ষাগর থেকে গণধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানানো হয়।

মঙ্গলবার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আলামত সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।

ভূক্তভোগী গৃহবধূ জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে যশোরের শার্শার লক্ষ্মণপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে তার স্বামীকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে তুলে নিয়ে যান পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে চালান দেন। 

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে এসআই খায়রুল ও তার কয়েকজন সোর্স ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে ওই নারীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ও তার সোর্সরা তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে গৃহবধূকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়।

গণধর্ষণের বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণধর্ষণে কে-বা কারা জড়িত তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গেল মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে অভিযুক্ত এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় মামলা হলেও এজাহারে নাম নেই এসআই খায়রুলের। এসআইকে বাদ দিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও একজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মঙ্গলবার রাতে শার্শা থানায় মামলা করেন গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। 

তবে গৃহবধূর অভিযোগ, গণধর্ষণে জড়িত ছিলেন এসআই খায়রুলও। তবে মামলার এজাহারে কেন এসআই খায়রুলের নাম নেই সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি গৃহবধূ।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের হামিজ উদ্দীনের ছেলে পুলিশের সোর্স কামারুল, লক্ষ্মণপুর গ্রামের মজিদের ছেলে কাদের ও মাজেদের ছেলে লতিফ। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘এসআই খায়রুলকে ওই নারীর সামনে হাজির করা হয়েছিল শনাক্তের জন্য। কিন্তু ওই নারী খায়রুলকে শনাক্ত করেননি। তবে তদন্তের স্বার্থে এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

এমএস/এসি