ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অভিন্ন নীতি বাতিলের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষকবৃন্দের

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিশ্বিবদ্যালয়ে স্বায়ত্বশাসন বিরোধী অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় মানববন্ধন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ।

 বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে  বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন ।  

মানববন্ধনে ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান(রাজু) এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদীয় ডীন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম, ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাজিব হাসান, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মো.জাহাঙ্গীর কবির অপু, প্রফেসর মো.কুতুব উদ্দিন, সিএসসি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. মাহাবুব হোসেন, ফসল ও শারীরতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটি একটি অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ ও বৈষম্যপূর্ণ নীতিমালা। এ নীতিমালাটি অনুমোদন দেওয়া হলে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ও গবেষণা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩' এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। সুতরাং অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন বঙ্গবন্ধুর উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তা-চেতনার পরিপন্থী ও তার প্রদত্ত স্বায়ত্তশাসনের সাংঘর্ষিক বলে আমরা মনে করি। সঙ্গত কারণে উচ্চতর গবেষণার অন্তরায় ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি এ অভিন্ন নীতিমালা হাবিপ্রবির শিক্ষকবৃন্দ প্রত্যাখ্যান করছে এবং এই নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। একইসঙ্গে বিদ্যমান চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন 'বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩' এর আলোকে পূর্ণরূপে নিশ্চিত করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।