ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা সমাধানে বিডা’র মতবিনিময় সভা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০১ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কর্মরত ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ধারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র কনফারেন্স কক্ষে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। 

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষের (বিডা) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মেস্বার), ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস)-এর নেতৃবৃন্দ।

এই সভায় আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কর্মরত বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধানের ওপর আলোকপাত করা হয়। উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, বেসরকারী খাতের এই সম্ভাবনাময় শিল্প শুধুমাত্র যথাযথ পেশাগত স্বীকৃতির অভাবে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারছে না। সামাজিক ও আর্থিক বিভিন্ন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

নিজের পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক জানান, উপার্জিত অর্থ দেশে আনা ও পেশাগত স্বীকৃতির অভাবে নানাক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন, তা সমাধানের লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ ও বিএফডিএস-এর যৌথ উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড ও ডেটাবেজ প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে।

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এতে যুক্ত হলে, নিবন্ধনকৃত ফ্রিল্যান্সাররা নানাবিধ আর্থিক সেবা সহজে পাবেন। এতে বিদেশ থেকে অর্থ আনার পথ আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি। আর এভাবেই প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের এই বাজারে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর যেই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর রূপকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

উন্মুক্ত আলোচনায়, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি হিসেবে বিএফডিসি নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন ইস্যুর ওপর আলোচনা করেন। ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পায়োনিয়ারের মাধ্যমে তাঁর ব্যাংকই প্রথম ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ দেশে ফেরত আনার পথ সুগম করে। গত দুই বছরে কেবলমাত্র ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমেই ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ বাংলাদেশে এনেছেন ফ্রিল্যান্সাররা। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে গত বছর এসেছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ফ্রিল্যান্সারদের সার্বিক উন্নয়নে এ পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এ আয়োজনের জন্য মাননীয় উপদেষ্টা ও মাননীয় প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্রিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় উত্থাপিত পর্যবেক্ষণ ও মতামতসমূহ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি গঠন করা হয়। মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সালমান ফজলুর রহমান জানান কমিটি এ সকল পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করে সমস্যা সমাধানের বিষযে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি নিজেও এ খাতের বিকাশে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন মর্মে সকলকে আশ্বস্ত করেন।

ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়ন ও সহযোগীতার বিষয়ে বিএফডিএস ও আইসিটি বিভাগ-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া নিবন্ধনকৃত ফ্রিল্যান্সারদের বিনা সুদে কিস্তিতে ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সুযোগ দিতে ওয়ালটন ও বিএফডিএস এর মধ্যেও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।