ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

গুরুদয়াল কলেজে ছাত্রলীগের কমিটির দাবিতে টানা বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৬ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

কিশোরগঞ্জের সরকারি গুরুদয়াল সরকারি কলেজে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকায় অবিলম্বে কমিটির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গুরুদয়াল কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি প্রত্যাশী একদল নেতাকর্মী। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাইদুর রহমান সজলের নেতৃত্বে টানা চার দিন যাবৎ মিছিল, মিটিংসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে কলেজের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যান্টিনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি কলেজ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কলেজ গেইটে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা ‘আর নয় টালবাহানা, এবার চাই কমিটি’সহ নানা ধরনের শ্লোগান দেয়।

পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান সজলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভূগোল বিভাগের স্মাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রশান্ত রায়, লিমন হাওলাদার, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ সিরাজী, রানা আহমেদসহ আরও অনেকে।

সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান সজল বলেন, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ঐতিহ্যবাহী একটি কলেজ। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ অসংখ্য নেতাকর্মী এ কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। অথচ এই কলেজটিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি নেই দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যা আমাদের জন্য হতাশাজনক। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের মাঝে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় কলেজে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। বর্তমান জেলা কমিটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দায়িত্বে থাকলেও কলেজ কমিটি নিয়ে তাদের উদাসীনতা নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করেছে।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নিয়ে বর্তমান জেলার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিরব ভূমিকা পালন করছেন। এতে করে আমাদের ছাত্র রাজনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। আমরা দ্রুত কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি চাই। কমিটির দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একুশে টেলিভিশনকে তিনি বলেন, দীর্ঘ একযুগ ধরে কমিটি নেই কথাটার সাথে আমি একমত নই। তবে দীর্ঘদিন যাবত কলেজ কমিটি নেই। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর ইতিমধ্যে অনেক উপজেলা, ইউনিয়ন ও কলেজ কমিটি দিয়েছি। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ কমিটিও খুব শীঘ্রই দিয়ে দিতে পারবো বলে আশা করছি।

আশরাফ আলী বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতিটা আসলে একটু অন্যরকম। জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিটা হয়েছে দীর্ঘ ১৯ বছর পর।  যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির আহব্বায়ক ১৬/১৭ বছল যাবৎ দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন। অর্থাৎ আমাদের জেলার রাজনীতিটাই এরকম। আমাদের ছাত্রলীগের আগের যে কমিটি ছিল, তারা দায়িত্বে ছিল ১০ বছর। যারা কিশোরগঞ্জে থাকেন, তারা এখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা বুঝেন, এটা আসলে বলে বুঝানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত ছাত্রলীগের কমিটি যেখানে হওয়ার কথা মাত্র ১ বছরের জন্য, সেখানে আমাদের জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে ৩ বছর পর। এখন আমাদের কমিটির মেয়াদ চলছে ৫ বছর। আমরা খুব করে চেষ্টা করছি কলেজ কমিটিটা করার জন্য। কেননা এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হিসাবে কমিটিগুলো করতে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিটা অনেকভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় আমাদের জন্য বিষয়টা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে।

টিআই/