ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। আফগান বোলারদের বিশেষ করে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে প্রথম সারির 8 ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। আর এতেই স্বাগতিকদের নিয়ে জেগে উঠেছে ফলোঅনের শঙ্কা। কেননা এখনও দেড় শতাধিক রানে পিছিয়ে থাকা দলটির হাতে নেই কোন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৭০ রান। ক্রিজে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন ৩২ রানে এবং তাইজুল ইসলাম ৪ রানে। 

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদি মিরাজ ১১ রানে আউট হন। আর লিটল মাস্টার মোমিনুল হক আউট হয়েছেন ফিফটি করেই। ৫২ রান করে মোহাম্মদ নবীকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন তিনি। তার ৭১ বলের ইনিংসে ছিল আটটি চারের মার।

এর আগে মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে, মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে এবং দলনায়ক সাকিব আল হাসান ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনের শিকার হয়ে। 

শুক্রবার আফগানদের ৩৪২ রানে থামিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাদমানকে তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন আফগান পেসার ইয়ামিন আহমদজাই। ফলে শূন্য রানেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৩৭ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ওঠার চেষ্টা চালান সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। 

কিন্তু ২০তম ওভারে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর লেগ বিফোরের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি সৌম্য। ফেরার আগে নিজ নামের পাশে মাত্র ১৭ রান যোগ করেন এই ওপেনার। তার ৬৬ বলের ইনিংসে ছিল না কোন বাউন্ডারি। আফগান বোলারদের সামনে সৌম্যকে যে যথেষ্ট সংগ্রাম করতে হয়েছে, তা টের পাওয়া যায় এতেই।

এর চার ওভার পর প্রথমবারের মত বল হাতে আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এসেই সাফাল্য পান আফগান দলপতি। ভালো খেলতে থাকা লিটন দাসকে রীতিমত বোকা বানান কনিষ্ঠ অধিনায়ক। লেন্থ বুঝতে ভুল করে তার খেসারত দিয়ে ফেরেন ডানহাতি লিটন। ফেরার আগে সৌম্যের সমান ৬৬ বল মোকাবেলায় ৩৩ রান করেন তিনি। তবে বল সমান খেললেও তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান লিটন।  

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ফিল্ডিংয়ে নেমে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই আফগানদের বাকি পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এদিন তাইজুলের জোড়া শিকারের পর আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন দলনায়ক সাকিব। পরে ঝোড়ো ফিফটি করা রশিদকে তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেন মেহেদি মিরাজ। যাতে ৩৪২ এ গিয়ে থামে আফগানদের প্রথম ইনিংস।

এ দিনের শুরুতেই আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল। প্রথমেই তুলে নেন সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা আসগর আফগানকে, পরে তারই সঙ্গী আফসারকেও সাজঘরের পথ দেখান এই বাঁহাতি। ৪১ রান করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন আফসার জাজাই।  
 
পরে বল হাতে এসে অল্পের ব্যবধানে কায়স আহমেদ (৯) ও ইয়ামিন আহমাদজাইকে (০) তুলে নিয়ে উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব। আর শেষে ঝড় তুলে ফিফটি হাঁকানো রশিদকে লাগাম পরান তরুণ স্পিনার মেহেদি মিরাজ।  

আউট হওয়ার আগে যতদূর সম্ভব নিজেদের স্কোরকে বাড়িয়ে নেয়ার কাজটিই করেন তরুণ আফগান ক্যাপ্টেন। তাইতো ক্রিজে এসেই খেলতে থাকেন হাত খুলে। যাতে অন্যরা বিপদে পড়লেও নিজে ঠিকই তুলে নেন টেস্ট ফিফটি। ৫১ রান করে মিরাজকেই রিটার্ন ক্যাচ দেন তিনি। তার ৬১ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের মার। 

এর আগে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করেছিল আফগানরা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দু'দলের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে।

প্রথম দিন রহমত শাহ’র সেঞ্চুরিতে (১০২) বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে আফগানরা। আর আগের দিনে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা আসগর আফগান এদিন সকালে মাত্র ৪ রান যোগ করেই মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন। 

এ ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন দ্রুত একশ উইকেট পূর্ণ করা তাইজুল ইসলাম। ৪১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান। আর একটি করে উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি মিরাজ।  

এনএস/