এসএমইতে ২৫ শতাংশ ঋণ বিতরণের সময় বাড়লো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৫৭ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ঋণ বিতরণ নীতিমালা কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ২০২১ সালের মধ্যে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের অন্তত ২৫ শতাংশ এসএমইতে বিতরণের বাধ্যবাধকতার সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সাল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসএমই ঋণের খাতভিত্তিক বিভাজনে উৎপাদনশীল ও সেবায় ঋণ বাড়ানোর সময়সীমার ক্ষেত্রেও শৈথিল্য আনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগের সংজ্ঞা ও ঋণ সীমা, এসএমই অর্থায়ন, নারী উদ্যোগ এবং পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব সার্কুলার একত্র করে একটি মাস্টার সার্কুলার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালেও আগের সব নির্দেশনা একত্র করে মাস্টার সার্কুলার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জাতীয় শিল্প নীতি-২০১৬-এর আলোকে সংজ্ঞা ও ঋণ সীমা পুনর্নির্ধারণ করায় এসব ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ঋণ পোর্টফোলিওর বিভাজনও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শুধু সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমই খাতে ঋণের পরিমাণ প্রতিবছর ১ শতাংশ হারে বাড়ানোর বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে। এভাবে ২০২৪ সালে মোট ঋণের অন্তত ২৫ শতাংশ এসএমইতে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি এ খাতে বিতরণ হওয়া ঋণের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ দিতে হবে কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে। এ ছাড়া একটি টেকসই এসএমই খাত গঠনের লক্ষ্যে ২০২৪ সালের মধ্যে এ খাতের উৎপাদনশীল অংশে ৪০ শতাংশ, সেবায় ২৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, উৎপাদনশীলতা ও সেবা খাতের ঋণের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দুই খাতে ঋণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আসছে। যদিও অধিকাংশ ব্যাংক ব্যবসা খাতে ঋণ বাড়াতে বেশি আগ্রহী। মূলত কম পরিশ্রমে বেশি মুনাফার আশায় ব্যাংকগুলো ব্যবসা বা ট্রেডিংয়ে বেশি ঋণ দিতে আগ্রহী থাকে।
বর্তমানে মোট এসএমই ঋণের সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ ট্রেডিং বা ব্যবসায় বিতরণ করতে পারে ব্যাংক। অন্তত ৩০ শতাংশ উৎপাদন এবং ১৫ শতাংশ সেবায় বিতরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরকে//