ফলোঅন এড়ালো বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
প্রথম দিন শেষে মলিন মুখে মাঠ ছাড়লেও টাইগার শিবিরে হাসি ফেরে আজ সকালেই। রশিদ খানদের যে অল্পতে থামানো গেছে- এই আনন্দে। কিন্তু এই অল্প রানও যে নেহাৎ কম নয়, ৩৪২! কিন্তু উইকেট এবং কন্ডিশন বিবেচনায় এই রানই যে পাহাড়সম হয়ে দেখা দিয়েছে টাইগারদের সামনে। সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটিংই যার প্রমাণ।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৪ রান। মোসাদ্দেক ৪৪ রানে এবং তাইজুল ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
শুক্রবার আফগানদের ছুড়ে দেয়া প্রায় সাড়ে তিন'শ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই কাঁপতে থাকে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকা টাইগাররা একপর্যায়ে তো ইনিংস হারেরই শঙ্কায় পড়েছিল। তবে মোমিনুল হকের ঝড়ো ফিফটির সুবাদে বড় ধরনের লজ্জা এড়িয়েছে টাইগাররা।
লাঞ্চ বিরতির পর থেকে চা বিরতির আগ পর্যন্ত সময়েই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তখন স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে মাত্র ৮৮ রান। আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের তিনজনই সাজঘরে ফিরেছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। সৌম্য সরকার ১৭, লিটন দাস ৩৩ এবং অধিনায়ক সাকিব ফিরেছেন ১১ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংসে আউট হওয়া মুশফিক ও সাদমান, রানের খাতা খুলতে পারেননি দুজনের একজনও। টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দশমবার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।
একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন মোমিনুল। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দল ফলোঅন এড়িয়েছে ঠিকই; কিন্তু বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার শঙ্কাটা এখনও রয়েই গেছে। ওয়ানডে মেজাজে খেলতে যাওয়া মোমিনুল ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৫২ রান করে। তার আগে ক্রিজে টিকতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। রশিদের বলে বোল্ড হয়েছেন ব্যক্তিগত সাত রানে।
এদিকে মোমিনুল আউট হওয়ার পর ফের ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেন কোনও রকমভাবে বিব্রতকর সে পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়েছেন দলকে। যদিও অল্পতেই সাজঘরে ফিরেছেন মিরাজ, কায়েসের শিকার হয়ে।
স্বাগতিকদের এমন বিপদে ফেলেছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। টাইগারদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৮ উইকেটের চারটিই নিয়েছেন এই স্পিনার। দুটি শিকার মোহাম্মদ নবীর। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন আহমাদজাই ও কায়েস।
এনএস/