ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:২০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে একটি সেন্ট্রাল মেডিকেল হেলথ রেকর্ড তৈরি করে স্বাস্থ্য খাতের ৯০ শতাংশ সেবাকে ডিজিটাল করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা কাজ যাচ্ছি। এই ডিজাইন ল্যাবে ডিজাইনকৃত প্ল্যাটফর্মের আওতায় মোট ৩৪ সেবাকে ৪২টি মডিউল তিনটি পর্যায়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাইজ করবো।

শনিবার প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সমন্বয়করণ ও ডিজাইন ল্যাবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ,তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এ-টুআই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) যৌথ আয়োজনে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, কর্মশালায় ডিজাইনকৃত ডিজিটাল সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে আমরা আরও সহজে এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করতে পারলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন সফলতা লাভ করবে। 

এ-টুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি এই ডিজিটাল সেবাগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্যবীমাকে যুক্ত করা হলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে ১২টি গ্রুপের পর্যালোচনায় একটি ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের বিষয় উঠে এসেছে। যার মাধ্যমে স্মার্ট হেলথ কার্ড, অধিক সংখ্যক রোগীকে সেবা প্রদান, হেলথ রেকর্ড সংরক্ষণ, অনলাইন-অফলাইনের-কলসেন্টারের মাধ্যমে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি, বিভিন্ন ধরণের টীকার তথ্য ও সময় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান, রোগের রিপোর্ট ডেটাবেজে সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি হবে। সেবা প্রদানকারীরাও সাধারণ রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবেন এবং বাংলাদেশের সকল রোগীর ডেটাবেজ তৈরি হবে। একই সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বর্তমান অবকাঠামো ও ডাক্তারদের সাহায্যে পূর্বের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগের অধিক রোগীকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলেও মতামতা দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। 

ডিজিটাল সার্ভিস রোডম্যাপ-২০২১ কর্মশালায় সনাক্তকৃত সিস্টেমসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটুআইয়ের ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্সিলারেটর টিমের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ আয়োজন করে।ডিজাইন ল্যাব কর্মশালায় বিএসএমএমইউ এর ৩০ জন ডাক্তার, ৩৮ জন কর্মকর্তা, ১২ জন সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সার্ভিস এনালিস্ট, ৬ জন এটুআইয়ের কর্মকর্তা এবং ২০ জন সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা অংশগ্রহণ করেন। 
কেআই/