ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

ফোনে ‘হ্যালো’ কীভাবে এলো?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

বর্তমানে এক মুহূর্তের জন্যও কি মোবাইল ফোন ছাড়া আপনার চলে? আসলে প্রতিদিনের কাজে আমরা এই যন্ত্রটির সফল ব্যবহার দেখতে পাই। এই সফল যন্ত্রটির আবিষ্কারককেও আমরা চিনি। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, যিনি কি না মানুষের মাঝে যোগাযোগের এই সহজ মাধ্যমটি তৈরি করে রেখে গেছেন।

এ যন্ত্রটির কল্যাণে চাইলেই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের যে কারও সঙ্গে কথা বলা যায়। চাইলে ভিডিও কল করেও কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দেখে দেখে কথা বলা যায়। আর এসব কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক সাধনার ফলে আমরা এ সুযোগ পেয়েছি।

প্রায় দেড়শ’ বছর আগে যোগাযোগ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ১৮৭৬ সালের পর থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আসে তার হাত ধরে। মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমতে শুরু করে। তিনি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি। যার নাম ‘টিঅ্যান্ডটি’।

জানা যায, গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দু’জনেই ছিলেন বধির। তাই এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন। আর এরই এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন অবিষ্কার করেন।

যাইহোক, কথা বলার মাধ্যমটিকে কেউ বলেন মোবাইল ফোন, অনেকেই ভালবেসে বলেন মুঠোফোন। এ ফোনের আগে নগর জীবনে বাসায় টেলিফোন থাকত। এখনও অবশ্য বিভিন্ন অফিসে টেলিফোনের প্রচলন রয়েছে। যাইহোক, ফোনে আমরা হ্যালো শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এত শব্দ থাকতে এই ‘হ্যালো’ শব্দটাই কেন এলো তা কি ভেবেছেন কখনও?

চলুন জেনে নেয়া যাক ‘হ্যালো’ শব্দটি প্রচলনের পেছনের গল্প। জানা যায়, ‘হ্যালো’ একটি মেয়ের নাম। যার পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো। তিনি ছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মেয়েবন্ধু। টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার পর তিনি তার ওই বন্ধুকে প্রথম ফোন করেন। তখন তার বন্ধুকে তিনি প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন, তা ছিল ‘হ্যালো’।

গ্রাহাম বেল তার বন্ধুকে নাম ধরেই ডেকেছিলেন। এটি ছিল তার সম্বোধন। সেই থেকেই হ্যালো শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় একটি শব্দ। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে ফোন ধরে প্রথমে ‘হ্যালো’ বলা শুরু হতে থাকে।